দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১২ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী এই রিট দায়ের করেন।
এদিকে, একই বিষয়ে আগে দায়ের হওয়া আরেকটি রিটসহ এই রিট আবেদনটিও শুনকে অপারগতা প্রকাশ করেছেন আদালত। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই অপারগতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন আদালত।
এর আগে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আইনজীবী এমএ আজিজের রিট আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্ট। এসময় বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, আমি পাঁচ বছর দুদকের আইনজীবী ছিলাম। যেহেতু এই রিট আবেদনে দুদকের প্রশ্ন জড়িত। এ কারণে রিট আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করছি। এরপর রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
এর আগে গত ৭ মার্চ রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। তিনি জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানিয়েছি। ওই রিটটি শুনানি করতে গেলে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি বিব্রতবোধ করেন। এর ফলে রিটটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেবেন এই বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি আরেকটি তৃতীয় বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন, সেখানে আমরা শুনানি করবো।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি-দাবি করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ওই রিটকারী আইনজীবী। পরে নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি রিট দায়ের করেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.