ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি

সাইক্লোন গ্যাব্রিয়েলার তাণ্ডবের মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে তৃতীয়বার জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। ইতিমধ্যেই গ্যাব্রিয়েলার তাণ্ডবে প্রবল বন্যা ও ধসের কবলে পড়েছে নর্থ আইল্য়ান্ড। সমুদ্রে বিশাল ঢেউ উঠছে। বন্যার ফলে অনেক শহর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নর্থ আইল্যান্ড থেকে মানুষদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রচুর ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে।

জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত মন্ত্রী কিরান ম্যাকঅ্য়ানুইটি বলছেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি অভূতপূর্ব। নর্থ আইল্যান্ডের অনেক জায়গায় তার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়েছে। নিউজিল্যান্ডের কাছে এটা আবহাওয়া-বিপর্যয়। এটা সকলের কাছেই প্রকৃত বিপদের কারণ। অনেক রাস্তা জলে ভেসে গেছে। অনেক রাস্তা জলে ভেসে গেছে।

ঘূর্ণিঝড় এখন অকল্যান্ডের একশ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটা পূর্ব ও দক্ষিণপূর্বে যেতে পারে। এর ফলে সাউথ আইল্যান্ডেও পরিস্থিতি জটিল হয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদী ও সমুদ্র বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে এবং সেখানে বিশাল ঢেউ উঠবে বলে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছেন। অনেক রাস্তা ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় মোবাইল ফোন পরিষেবা বন্ধ।

এর আগে নিউজিল্যান্ডে দুইবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। একবার ২০১১ সালে ক্রাইস্টচার্চে ভূমিকম্পের পর। দ্বিতীয়টি কোভিডের সময়।

এখন আবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এর ফলে সরকারের হাতে বেশ কিছু বাড়তি ক্ষমতা থাকবে, যা দিয়ে তারা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কতজন মানুষ আহত হয়েছেন বা কতজন ঘরবাড়ি হারালেন তা বলার সময় এখনো আসেনি। নর্থ আইল্যান্ডে প্রচুর মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অনেক বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। দেশজুড়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.