৫ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের স্পিনারদের দুর্দান্ত বোলিং প্রদর্শনীতে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন সুবিধা করতে পারেনি ভারত। ছয় উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান তুলে ম্যাচের প্রথম দিন শেষ করেছে তারা। দ্বিতীয় দিনে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদিপ যাদবের কল্যাণে ৪০৪ রান করতে পেরেছে তারা।

ভারতকে জবাব দিতে নেমে প্রথম বলেই ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। মোহাম্মদ সিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে ঋষভ পান্তের হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ওপেনার। পান্ত তা লুফে নিলে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শান্ত। তিনে নেমে ইনিংস রাঙাতে পারেননি ইয়াসির আলী রাব্বিও। ১৭ বল খেলা এই ব্যাটারকে ইনসাইড এজে বোল্ড করেন উমেশ যাদব।

শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য খানিকটা প্রতিরোধ গড়েন জাকির হাসান এবং লিটন দাস। যদিও তাদের জুটি বড় করতে দেননি সিরাজ। ডানহাতি এই পেসারের নিচু হওয়া বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়েছেন লিটন। ডানহাতি এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ৩০ বলে ২৪ রান করে। লিটনের বিদায়ের পর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে চার মেরে রানের খাতা খুলেন মুশফিকুর রহিম।

সিরাজের বলেও মেরেছেন আরও একটি চার। এদিকে সিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে পান্তের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন জাকির। তাতে নিজের অভিষেকে ২০ রানে ফিরে যেতে হয় তরুণ এই ওপেনারকে। থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। খেলেও ফেলেছিলেন ২৫ বল। তবে কুলদীপ যাদবের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্লিপে থাকা বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দেন ৩ রান করা সাকিব।

এর আগে দিনের শুরুতেও দেখেশুনে খেলতে শুরু করেন শ্রেয়াস আইয়ার। যদিও দুর্ভাগ্য তার! সেঞ্চুরির আগেই তাকে ফিরিয়েছেন এবাদত হোসেন। আগের দিন শ্রেয়াসের ক্যাচ মিস করা এবাদত এ দিন সরাসরি বোল্ড করেছেন তাকে।

দলে ১৯২ বলে দশটি চারে ৮৬ রান করেই থামতে হয়েছে ভারতের এই ব্যাটারকে। শ্রেয়াস ফেরার পর কুলদিপ যাদবকে নিয়ে ভারতের রান বাড়িয়েছেন অশ্বিন। দেখেশুনে খেলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে যা তার ১৩তম হাফ সেঞ্চুরি। কুলদিপ যাদবের সঙ্গে তার জুটি পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় তখনই। কুলদিপও হাত খুলেই খেলতে থাকেন। দুজনে মিলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ এক ডেলিভারিতে অশ্বিনকে ফেরান মিরাজ।

১১৩ বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৮ রান করা এই ব্যাটারকে স্টাম্পিং করেন নুরুল হাসান সোহান। অশ্বিন ফেরার পরের ওভারেই কুলদিপকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। ১১৪ বলে ৪০ রান করা এই স্পিনারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। শেষদিকে ১০ বলে দুই ছক্কায় অপরাজিত ১৫ রান করে ভারতের রান চারশ পার করেন উমেশ যাদব। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন মিরাজ ও তাইজুল।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.