প্রথম ইনিংসে ১১২ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছে ভারত ‘এ’ দল। ভারতীয় ব্যাটাড়দের কাছে পাত্তাই পাননি খালেদ আহমেদ-রেজাউর রহমান রাজারা। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৬৫ রান তোলে ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা। প্রথম ইনিংসে ভারত লিড নিয়েছে ৩৫৩ রানের।
প্রথম দিনেই ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ৮ রানের লিড নিয়েছিল ভারত ‘এ’ দল। দ্বিতীয় দিনেও বোলিংয়ে এলোমেলো খালেদ আহমেদ-রেজাউর রহমান রাজারা। বিনা উইকেটে ১১২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। সেখান থেকে দ্রুত গতিতে রান তুলেছেন দুই ওপেনার। প্রথম সেশনেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন দুইজনই। ১৫৯ বলে তিন অঙ্কের কোটা স্পর্শ করেন ইয়াশভি জয়সাওয়াল। আরেক ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ১৮৪ বলে। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেও কোনো উইকেট শিকার করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকা দুই ব্যাটার যেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে ৭৭তম ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পেলো বাংলাদেশ। জয়সাওয়ালকে ১৪৫ রানে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
এর আগে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের অনানুষ্ঠানিক টেস্ট ম্যাচে আগে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। কক্সবাজারে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি মোহাম্মদ মিথুনের দল। টপ অর্ডার ব্যর্থতার পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাফ-সেঞ্চুরিতে কোনোরকমে একশো পার হয় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ১১২ রান তোলে অলআউট হয়েছে তারা।
দীর্ঘদিন ধরে অফফর্মে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়ের জন্য সুযোগ ছিল এই ম্যাচ দিয়ে রানে ফেরার। তবে ঘরের মাঠেও ব্যর্থ এই তরুণ ওপেনার। ইনিংস ওপেন করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন জয়। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯ বলে ১ রান। আরেক ওপেনার জাকির হাসান ডাক খেয়েছেন। তিনে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেছেন ১৯ রান করে। অভিজ্ঞ মুমিনুল হক ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন অধিনায়ক মিথুনও।
দলীয় ২৬ রান তুলতেই প্রথম সারির ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে বাংলাদেশ। এরপর উইকেটে এসে ভারতীয় বোলারদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝেও সাবলীল ব্যাটিং করছেন তিনি। জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন এই অলরাউন্ডার।
৫ উইকেটে ৫৬ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। যেখানে ২৯ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক। লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন মোসাদ্দেক। ৫৪ বলে তুলে নিয়েছিলেন হাফ-সেঞ্চুরি। তবে সেটা খুব বেশি লম্বা করতে পারেননি। ৬৩ রান করে মোসাদ্দেক সাজঘরে ফেরার পরা আর কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। তাইজুল ইসলামের ১২ এবং নাইম হাসানের ৬ রানের সুবাদে শেষপর্যন্ত ১১২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ভারত ‘এ’ দলের হয়ে ২৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন সৌরভ কুমার।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.