অস্ট্রেলিয়াতে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। রাসেলের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে নেই নারিনও। সর্বশেষ ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে খেলেছিলেন রাসেল। স্পিনার নারিন খেলেছিলেন ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে। এদিকে ফিটনেস ইস্যুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর দল থেকে জায়গা হারিয়েছিলেন এভিন লুইস। তবে বাঁহাতি এই ওপেনারকে ফেরানো হয়েছে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের জন্য।
লম্বা সময় পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলে ফিরেছেন জনসন চার্লস। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। মূলত ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) দুর্দান্ত ফর্মের কারণে দলে জায়গা পেয়েছেন চার্লস। চলমান সিপিএলে ৬ ইনিংসে ৪৫.৪০ গড়ে ২২৭ রান করেছেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি দলে প্রথমবারের মতো জায়গা পেয়েছেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার রেইমন রেইফার এবং লেগ স্পিন অলরাউন্ডার ইয়ানিক কারিয়াহ। এদিকে হাঁটুর ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ দলের বিচেনায় ছিলেন না ডমিনিক ড্রেকস। পরিবারের সমস্যা কাটিয়ে আসলেও জায়গা মেলেনি ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে এবং আয়ারল্যান্ড। ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পুরানদের বাকি দুই ম্যাচ ১৯ ও ২১ অক্টোবর। যেখানে তারা খেলতে জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। গ্রুপের সেরা দুই দল খেলার সুযোগ পাবে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), রভম্যান পাওয়েল, ইয়ানিক কারিয়াহ, জনসন চার্লস, শেলডন কটরেল, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, আকেল হোসেন, আলজারি জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, এভিন লুইস, কাইল মেয়ার্স, ওবেদ ম্যাককয়, রেইমন রেইফার এবং ওডেন স্মিথ।
অর্থসূচক/এএম/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.