স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বাজুসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বরাবর প্রদান করা হয়।
চিঠিতে, স্বর্ণ চোরাচালানান ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে যৌথ মনিটরিং সেল গঠন ও চোরাকারবারিদের দমনে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে আরও কঠোর আইন প্রণয়নের আহ্বান জানায় বাজুস।
এছাড়া, ব্যাগেজ রুলের আওতায় স্বর্ণের বার ও অলঙ্কার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সঙ্কট, চোরাচালান ও মানিলন্ডারিংয়ে কী প্রভাব পড়ছে, তা নিরূপনে বাজুসকে যুক্ত করে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনারও আহ্বান জানিয়েছে বাজুস। বাজুসের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধ ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রম আরও বেগবান হবে এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বাজুস।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস দেশের জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে। সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিরলস পরিশ্রমে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পের বাজার। এমন প্রেক্ষাপটে জুয়েলারি শিল্পে সোনা চোরাচালান বড় ধরনের সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোরচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না। চোরাচালানের ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়ছে। আমরা ধারণা করছি প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে সারা দেশে জল, স্থল ও আকাশ পথে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ স্বর্ণের অলঙ্কার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে; যা ৩৫৬ দিনে বা এক বছরে দাঁড়ায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
অর্থসূচক/এমএস/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.