আরও একটি সপ্তাহ পতন পুঁজিবাজারে

আগের সপ্তাহের মত বিদায়ী সপ্তাহেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্য সূচকের পতন ছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণও। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১১.১১ শতাংশ।

আলোচ্য সপ্তাহে সার্বিক বাজারে দরপতনের কারণে বাজার মূলধনেও রয়েছে নেতিবাচক প্রবণতা।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৮২২ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার  টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল  ৪ হাজার ৩০০ কোটি ৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৪৭৭ কোটি ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার  টাকার বা ১১.১১ শতাংশ লেনদেন কমেছে।

ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৯৮ দশমিক ০৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

গত সপ্তাহে বাজার মূলধনের শীর্ষ৩০  কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৯ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৬ শতাংশ কমে ২ হাজার  ২৯৮ পয়েন্টে নেমেছে।

অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২০.৩৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ২৯৭টির। আর ১৯টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

অন্যদিকে ডিএসইতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৪ হাজার ৯৯৫ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার  টাকা বা দশমিক ৯৬ শতাংশ বাজার মূলধন কমেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫১ লাখ ৯ হাজার ৩১১ কোটি ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯০১ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫১ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৪ কোটি ৬০ লাখ ৪ হাজার  টাকায়।

অর্থসূচক/এসএ/

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.