পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কাটিয়ে কৃষকরা ধান উৎপাদনে লেগে পড়েছে। এদিকে টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল। এর মধ্যে সবজি ছাড়াও রয়েছে আউশ ও আমন ধান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যার পানি প্রবেশ করে ডুবে গেছে ছয় হাজার হেক্টর জামিতে চাষ করা আউশ ধান। আরও তলিয়ে গেছে ১৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির আমন ধান ও দুই হাজার ৭০ হেক্টর জমির সবজি।

এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) নয়ন মনি সূত্রধর জানান, পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নবীগঞ্জ ও লাখাই উপজেলা। এসব উপজেলার আউশ, আমন ধান ও সবজির ক্ষতি হয়েছে অনেক। পানি না নামা পর্যন্ত বলা যাবে না ডুবে যাওয়া ধানের মধ্যে কতটুকু টিকতে পারে।

রোববার (১৯ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর ও রাধাপুরে কুশিয়ারা নদীর পানি বাঁধের ১ ফুট ৬ ইঞ্চি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বাঁধ রক্ষার জন্য সাড়ে ৪ হাজার বস্তা দেওয়া হয়েছে মাটি ফেলার জন্য। শুক্রবার হবিগঞ্জ শহরে ১৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জের নয় উপজেলায় এবার বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন। মোট জমির মধ্যে হাওর অধ্যুষিত আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, লাখাই, নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলায় ৪৬ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। আর সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৬০০ মেট্রিকটন। হাওরের ২৫ শতাংশ ধান এরই মধ্যে কাটা হয়েছে। সমতল ভূমির প্রায় ১১ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা চলছে।

অর্থসূচক/এইচডি/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.