সবাইকে বৃক্ষরোপণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সবাইকে বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শহরে যারা থাকেন তারা ছোট ব্যালকনিতে একটা হলেও গাছ লাগাতে পারেন। অন্তত একটি ফলদ, বনজ ও ভেষজ গাছ লাগান।

এর আগে গণভবন চত্বরে ছাতিম, সফেদা ও হরিতকির চারা রোপণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এর মাধ্যমেই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এ সময় জনসাধারণের পাশাপাশি সরকারি অফিসগুলোতেও ছাদ বাগান করতে বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের চিন্তা করে, মানুষের চিন্তা করে। পরিবেশের কথা ভেবে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনকেও বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি জানান, বাংলাদেশ বিশ্বে একমাত্র দেশ যারা নিজস্ব ফান্ডে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড করেছে এবং কাজ করছে।

জাতির পিতা নিজে, দলীয় ও সরকারি উদ্যোগে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছিলেন উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের ঝাউগাছ স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতার উদ্যোগে রোপণ করা হয়।

তিনি বলেন, আমি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ কৃষক লীগের তৎকালীন নেতাদের বৃক্ষরোপণের জন্য অনুপ্রাণিত করি। ১৯৮৫ সাল থেকে আজ অবধি আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র এই তিন মাস সারা দেশে ফলজ, বনজ ও ভেষজ এই তিন প্রজাতির গাছ লাগানোর কর্মসূচি সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে আসছি। কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠন সারাদেশে এই কর্মসূচি পালন করে। সুন্দরবন রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় ৯৮ সালে তা বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পরে প্রধানমন্ত্রী জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতিসহ সংগঠনের নেতারা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.