গত ৮ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। সফরে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টরের সঙ্গী ছিলেন তাইজুল ইসলাম এবং মুস্তাফিজুর রহমান। শেষোক্ত দুজন দলের সঙ্গে যোগ দিলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাঝপথ থেকেই দেশে ফিরেছেন সুজন। কাতারের দোহা থেকে বাংলাদেশের বিমান ধরেন তিনি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে আকাশে উড়াল দেয়ার পরই অস্বস্তিতে ভোগেন সুজন। কাতার এয়ারওয়েজের সেই বিমানটি দোহাতে পৌঁছালে তাইজুল-মুস্তাফিজরা আরেকটি ফ্লাইটে উইন্ডিজের পথ ধরলেও সুজন দেশে ফিরে এসেছেন সে রাতেই।
জানা যায়, মূলত উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ায় ভ্রমণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননি বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর সুজন। অবশ্য পুনরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবেন কিনা সেই ব্যাপারে এখনও জানা যায়নি।
দেশে ফিরেই জরুরী চিকিৎসা নেন সুজন। অনেকটাই সুস্থ হয়েছেন বলে রবিবার গণমাধ্যমকে জানান সুজন। বোর্ড পরিচালক এবং দলের অভিভাবক সুজন না যাওয়ায় ইতোমধ্যেই বিকল্প পরিকল্পনা করেছে বিসিবি। আপাতত বিসিবির পরিচালক ওবেদ রশীদ নিজামকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। তবে সেখানেও রয়েছে বিপত্তি। কেননা গত সপ্তাহেই করোনা পজিটিভ ধরা পড়েন নিজাম। আবারও পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ হলে ১৫ জুন দেশ ছাড়বেন তিনি।
আরও জানা গেছে, পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবও ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবেন। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ২০১৮ সালের পর আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। সেখানে দুই টেস্টের সঙ্গে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ খেলবে সফরকারীরা। ইতোমধ্যেই তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.