আগামী বাজেটে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে : তাজুল ইসলাম

সরকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করেই বাজেট ঘোষণা করে থাকে। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (৫ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বণিক বার্তা ও গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘জন-বাজেট সংসদ ২০২২’-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ।

মন্ত্রী বলেন, দেশের কোনো মানুষকে বাদ দিয়ে উন্নত দেশ গড়া সম্ভব না। দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ে সবার অংশগ্রহণের ফলে। এবারের বাজেটেও জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। কৃষির প্রতি সরকারের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। কৃষি, উপকূলীয় এলাকায় বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এসময় চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বরোপ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ। বাজেটের ন্যায়ভিত্তিকভাবে বন্টন করতে হবে। কৃষিক্ষেত্রের প্রতি নজর দেওয়ার ক্ষেত্রে অমনযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হাওরেও কৃষকদের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণ, হাওরের বিষয়গুলো সামনে আনতে হবে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেন, শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে দেশের মানুষের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাজেট বরাবরই কেন্দ্রমুখীই থাকে। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারি দলের সদস্যরা বাজেটের বিষয় থেকে সরে গিয়ে সরকারের গুণগানে ব্যস্ত থাকে। বিরোধী দলের কথা সরকারের কান পর্যন্ত পৌঁছায় না।

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.