৪১০ হজযাত্রী নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইট ঢাকা ছাড়লো। রোববার (৫ জুন) সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ফ্লাইটটি। বিমানটি জেদ্দায় পৌঁছাবে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু নানা অব্যবস্থাপনার কারণে যথাসময় হজ ফ্লাইট শুরু হয়নি। তাই আজ ৫ জুন থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হজ ফ্লাইট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা। তবে সকাল ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়নি।
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জনসহ সর্বমোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমনের সুযোগ পাচ্ছেন। যদিও আগে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বাংলাদেশ থেকে হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতেন। এ বছর ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজে অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে না সৌদি সরকার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিদেশি নাগরিকদের জন্য হজযাত্রা বন্ধ ছিল। এবার হজযাত্রা উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ বছর রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও সুন্দর, সহজ ও প্রযুক্তিনির্ভর করা সম্ভব হয়েছে। হজযাত্রীদের জন্য ডেডিকেটেড বিমান সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। হজযাত্রীদের সমস্ত ইমিগ্রেশন ফরমালিটিজ ঢাকা থেকেই সম্পন্ন হচ্ছে। বিমান প্রি হজে ৬৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা রুটে ৫১টি ও মদিনা রুটে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ৯টি চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে দুটি, সিলেট-জেদ্দা রুটে দুটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এছাড়া পোস্ট হজের ক্ষেত্রে ৬৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালিত হবে। জেদ্দা থেকে ৫১টি ও মদিনা থেকে ১৪টি।
২০১৮ সালে বিমান ৬২ হাজার ৭৯৬ জন ও ২০১৯ সালে ৬৬ জাজার ২৮৬ জন হজযাত্রী পরিবহন করেছিল।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই (৯ জিলহজ) সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। করোনা মহামারির কারণে গেলো ২ বছর বাংলাদেশে থেকে কেউ হজে অংশ নিতে পারেননি। এবার হজে সারা বিশ্বের ১০ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। হজযাত্রীর এই সংখ্যা কোটা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এবার নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে সৌদি আরব সরকার ঘোষণা করে বাংলাদেশে থেকে হজে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথা। তবে কমিয়ে দেওয়া হয় হজযাত্রীর কোটা।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.