দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে যা করবেন

মোবাইল ফোনে সোশ্যাল মিডিয়া বা গেমে বুঁদ থাকার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। এতে নিজের অজান্তেই দৃষ্টিশক্তি ও চোখের ক্ষতি করছেন । পাশাপাশি বয়স এবং বিভিন্ন রোগের কারণে চোখের উপর আরও চাপ পড়তে থাকে। ফলে, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি ইত্যাদির মতো কিছু সমস্যা পরবর্তীকালে আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চোখের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। তাই দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে  সতর্কতা জরুরি।

নিয়মিত চোখ পরীক্ষা: অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি ঠিক আছে বলে মনে হলেও একমাত্র বিশেষজ্ঞের পরীক্ষার পরেই আমরা এবিষয়ে নিশ্চিত হতে পারি। আবার চোখের পরীক্ষা শুধুমাত্র চশমার প্রয়োজনেই করা হয় না, সামগ্রিকভাবে চোখের অবস্থাও জানা যায়। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে চোখের কোনো সমস্যা সনাক্ত করা হলে চিকিৎসা শুরু করা যায়।

স্ক্রিনের সময় নিয়ন্ত্রণে রাখা: বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য বয়স্কদের চোখের সমস্যা বেড়েছে। তাই চোখ ভালো রাখতে স্ক্রিনের সময় নিয়ন্ত্রণ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ডিভাইস থেকে বেরোনো উচ্চমাত্রার নীল আলো চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকর।চোখ থেকে অন্তত ২০-২৪ ইঞ্চি দূরে রেখে মোবাইল ব্যবহার করা উচিত। ক্ষতি কমাতে উজ্জ্বলতা অ্যাডজাস্ট করতে হবে দরকার মতো। ঘন ঘন চোখের পলক ফেলতে হবে। প্রতি ঘণ্টায় ১০-১৫ মিনিটের জন্য বিরতি নিতে হবে স্ক্রিন টাইম থেকে।

স্বাস্থ্যকর ডায়েট: চোখ ভালো রাখতে ডায়েটে সবুজ সবজি ও ফল রাখতে হবে। সবুজ শাক-সবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ এবং ক্যাটারাক্ট প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফলের মধ্যে আঙুর চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, স্যামনের মতো মাছে অপরিহার্য ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা ম্যাকুলার স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।

পর্যাপ্ত ঘুম ঠিক মতো না ঘুমালে ড্রাই আই সিনড্রোম এবং চোখের স্প্যাজমের মতো উপসর্গ দেখা যায়। আসলে ঘুম ভালো হলে শরীর বিশ্রাম পায়। ফলে চোখ পরিষ্কার, ভালো দৃষ্টিশক্তি, উন্নত আই লুব্রিকেশন হয়, একই সঙ্গে চোখের এবং চারপাশের টিস্যু এবং স্নায়ুগুলো ঠিক থাকে। সঠিকভাবে ঘুমালে চোখে চাপ পড়ার কারণে মাথাব্যথা হবে না এবং ধীরে ধীরে দৃষ্টি পরিষ্কার হতে থাকবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.