সূচকের উত্থান-পতনে সপ্তাহ পার

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থান-পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনেদেন বেড়েছে দশমিক ৩৮ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি সপ্তাহে ডিএসইতে ৫ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ৪ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছিল। এ হিসাবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৯০১ কোটি ১৯ লাখ ৮৩ হাজার  টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৮৮৬ কোটি ৫৮ লাখ ৯২ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে  ১৪  কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার টাকার বা ৩৮ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১২ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বা  দশমিক ১৯ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৭৫২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে বেড়েছে অপর দুই মূল্য সূচক। গত সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০  কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে  ৮ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা  দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৪৬৬ পয়েন্টে উঠেছে।

অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২.৫০ পয়েন্ট বা  দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৫টির, কমেছে ২৬৪টির। আর ১৬টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

অন্যদিকে ডিএসইতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৫ হাজার ৬৮৬ কোটি ৫৬ লাখ ৭৬ হাজার  টাকা বা  দশমিক ৪৭ শতাংশ বাজার মূলধন কমেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল  ৫৪ লাখ ৭৯২ কোটি ৬২ লাখ ৮২ হাজার  টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫৩ লাখ ৮ হাজার ২৬৩ কোটি ৩৪ লাখ ২ হাজার  টাকায়।

অর্থসূচক/এসএ/

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.