বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী-রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেছেন, ব্রোকার হাউজের সহায়তা হয় এমন সকল কাজই করবে বিএসইসি। তবে ব্রোকার হাউজগুলোকে অবশ্যই আইন পরিপালন করে চলতে হবে।
আজ (১৪ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের উদ্যোগে আয়োজিত বিনিয়োগকারীদের তহবিল এবং শেয়ার নিরাপত্তা জোরদার করণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেক হোল্ডার কোম্পানিগুলির চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে আয়োজিত এক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম।
বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, কোন কাজে আপনাদের সহায়তা লাগবে, সেটা কমিশন কে বলবেন। আমাদের কাজই হলো আপনাদের সহায়তা করা। কোন কাজে সমস্যা হলে, সিডিবিএল কোন সমস্যা করলে তা বিএসইসিকে বলবেন। আমরা আপনাদের সহায়তা করতেই আছি। তবে আপনাদেরকে আইনের ভিতরে থেকেই কাজ করতে হবে।
শিবলী-রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, ব্রোকার হাউজের সহায়তা হয় এমন সব কাজই করবে বিএসইসি। তবে ব্রোকার হাউজগুলোকে আইন মেনে চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রোকারদের ব্যবসা বা আয় বাড়াতে হবে, আর ব্যবসা বা আয় বাড়াতে হলে লেনদেনও বাড়াতে হবে। ব্রোকারদের আয় বাড়লে তখন তারা ভিন্ন পথ থেকে ফিরে এসে সঠিক ব্যবসায় মন দিবে।
ব্লক চেইন ব্যাবস্থা নিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ব্লকচেইন টেকনোলজি বাজারে নিয়ে আসতে পারলেই সচ্ছতা ফিরে আসবে। বাজারের জন্যব ডিজিটালাইজেশন খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ।কোন কাজে আপনাদের সহায়তা লাগবে, সেটা বিএসইসিতে বলেন। আমাদের কাজই হলো আপনাদের সহায়তা করা। কোনো কাজে সমস্যা হলে, সিডিবিএল কোন সমস্যা করলে তা বিএসইসিকে বলেন। আমরা আপনাদের সহায়তা করতেই আছি। তবে আপনাদেরকে আইনের ভিতরে থেকেই কাজ করতে হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি’র কমিশনার আবদুল হালিম বলেন, আমাদের এই কমিশন চায় দেশের অর্থনীতির চাইতে পুঁজিবাজার এগিয়ে থাকুক৷ কমিশনের শুরু থেকেই সকল বিষয়ে, বিষয়গুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আমরা আলোচনা করি। আমরা সকল পত্রিকা, সকল অনলাইন পোর্টাল সহ সকল কিছুর নজরদারি করি। মার্কেটের ভালোর জন্য আমরা যা প্রয়োজন, যার সাথে আলোচনায় প্রয়োজন সবকিছুই আমরা করছি। কমিশনের কর্মকর্তারা নিজেদের মাঝে বলাবলি করে, আগের কমিশনের চেয়ে বর্তমান কমিশন অনেক বেশি মিশতে চায় বাজারের সাথে যুক্ত সকলের সাথে। সকলের সাথেই আলোচনা থেকে শুরু করে সবধরনের পদক্ষেপই আমরা নিয়ে থাকি যা বাজারের জন্য সুখকর।
তিনি আরও বলেন, মানুষের কাছে অনেক টাকা রয়েছে। মানুষের এই টাকা বিনিয়োগের জন্য বাজারে নিয়ে আসতে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। অস্থার অভাবেই বিনিয়োগকারীরা বাজারে আসতে চায় না।
আব্দুল হালিম বলেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর যে পরিমাণ ঋণ রয়েছে তার বেশির ভাগই ডিএসইর ১২টি বে্রাকার এবং ১৫টি মার্চেন্ট ব্যাংকের। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ কমিয়ে এনেছে। ঋণে থাকা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই বিষয়ে আন্তরিকতাও ছিল না। এ কারণে এই সমস্যা থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো বের হতে পারেনি।
উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোঃ তারিক আমিন ভূইয়া। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিবিএ এর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও, সিডিবিএল এর এমডি ও সিইও শুভ্রকান্তি চৌধুরী, এফসিএ। এসময় ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, বিএসইসি এবং ডিএসই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসূচক/এমআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.