আফগানিস্তানের অনুপ্রেরণার নাম ‘চট্টগ্রামে টেস্ট জয়’

২০১৯ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেতে আর মাঠে নামা হয়নি বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের। দীর্ঘ ৩ বছর পর আবারও ওয়ানডেতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। লড়াইটি ৫০ ওভারের হলেও এই সিরিজে আফগানদের অনুপ্রেরণার নাম বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট জয়।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে জয় পেয়েছিল আফগানিস্তান। সেটাই ছিল পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের কীর্তি। সেই টেস্টে রহমত শাহর ১০২ ও আসগর আফগানের ৯২ রানে ভর করে প্রায় সাড়ে তিনশো (৩৪২) রান তুলেছিল আফগানরা।

অধিনায়ক রশিদ খানও খেলেছিলেন ৫১ রানের ইনিংস। এরপর রশিদের বোলিং ঘূর্ণিতে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২০৫ রানে। প্রথম ইনিংসে রশিদ নেন ৫৫ রানে নেন ৫ উইকেট। এরপর আফগানরা আবারও ব্যাট করে ২৬০ রান তুলে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ১৭৩ রানে অল আউট হলে ঐতিহাসিক জয় পায় আফগানরা। দ্বিতীয় ইনিংসে রশিদ নেন ৪৯ রানে ৬ উইকেট নেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকেই শুরু করতে চান আফগানিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহীদী।

প্রথম ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে আফগান অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই আমরা সেখান (বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়) থেকে শুরু করতে চাই। এই ভেন্যুতে আমাদের দারুণ স্মৃতি আছে এবং ওই জয় থেকে আমরা ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে আগামীকাল শুরুর চেষ্টা করব।’

বরাবরের মতো এবারও আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণের ভরসা স্পিন ত্রয়ী রশিদ, মুজিব ও নবি। তাই চট্টগ্রামের উইকেট নিয়ে রোমাঞ্চিত শহীদী। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভালো স্পিন বোলিং আক্রমণ আছে এবং বাংলাদেশে উইকেট স্পিন বোলিং সহায়ক। এটা খুব ভালো, তাই আমি আত্মবিশ্বাসী।’

বাংলাদেশ সিরিজের আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসরে খেলেছেন বেশ কয়েকজন আফগান ক্রিকেটার। এটা দলটিকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের অনেক সাহায্য করবে। আমরা বাংলাদেশে অনেক ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছি। সম্প্রতি বিপিএলে আমাদের খেলোয়াড়রা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। মাঠ ও পিচ সম্পর্কে জানতে সহায়ক হবে এটি।’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.