ব্যাংকের পাশাপাশি এখন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানও মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) দিতে পারবে। এসব প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে এমএফএস লাইসেন্স দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ফলে ডাক বিভাগের সেবা নগদকে এখন এমএফএস লাইসেন্স দিতে কোনো বাধা নেই। তাই চাইলে নগদকেও লাইসেন্স দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। নগদ ছাড়া দেশের যেসব এমএফএস প্রতিষ্ঠান সেবা দিচ্ছে, তার সবাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্স প্রাপ্ত। আগে শুধু ব্যাংক ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের এই সেবা দেওয়ার সুযোগ ছিল।
গত মঙ্গলবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) ‘মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০২২’ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতেই এই সুযোগ দেওয়া হয়। আগের বিধিমালাটি ছিল ২০১৮ সালের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিমালা অনুসারে, যারা এমএফএস সেবা দেবে, তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গঠন করতে হবে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫১ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে মূল ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সংস্থার হাতে। এই সহযোগী প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে ৪৫ কোটি টাকা।
নগদ সরকারের ডাক বিভাগের একটি সেবা। তবে নগদের মালিকানায় ডাক বিভাগের বিভাগের অংশগ্রহণ নেই। এত দিন নগদ ডাক বিভাগের অধীনে সেবা দিয়ে আসছিল। ২০২০ সালের এপ্রিলে নগদকে সাময়িক অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বারবার সময় বাড়িয়ে এখন নগদ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
২০১৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাইলট বা পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে নগদের যাত্রা শুরু হয়। একই বছরের ২৬ মার্চ নগদ সেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রা শুরুর এক বছরের নগদ বাজারের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। প্রচলিত সীমার চেয়ে বেশি লেনদেন সীমা, খরচ কম ও সহজেই হিসাব খোলার সুযোগ পাওয়ায় নগদ এখন গ্রাহক ও লেনেদেনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর এমএফএস প্রতিষ্ঠান।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স প্রাপ্ত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন সেবার সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে না নগদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নগদকে সুযোগ দিতেই বিধিমালাটি পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি বিধিমালায় আরও অনেক বিষয় যুক্ত আধুনিকায়ন করা হয়েছে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.