ম্যাচ জিততে অসম্ভব কিছু করতে হতো সিলেট সানরাইজার্সকে। আলাউদ্দিন বাবু প্রথম ৩ বলে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে আশাও জাগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ ৩ বলে তাদের ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দেয় খুলনা টাইগার্স।
হারের বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা সিলেট ঘরের মাঠেও জিততে পারল না। ৭ ম্যাচে ৫টিতে হেরে এখন বিপিএল থেকে বিদায় নেয়ার দ্বারপ্রান্তে দলটি। এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার শুরুটা হয় হতাশার। প্রথম তিন বলে এক রান তুলতেই দুই ব্যাটারকে হারায় মুশফিকুর রহিমের দল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও পরের বলে গোল্ডেন ডাকের শিকার মেহেদী হাসান।
চারে এসে ওপেনার সৌম্যকে সঙ্গ দিয়ে দারুণ জুটি গড়েন ইয়াসির আলী। যদিও এই যুগলের ৪৫ রানের জুটি ভেঙে সিলেটকে দারুণ ব্রেক থ্রু এনে দেন তাসকিনের চোটে দলে ডাক পাওয়া একেএস স্বাধীন। ১৭ বলে ২৩ রান করে ফেরেন ইয়াসির। পাঁচে এসে সৌম্যের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিক।
একপাশ আগলে ৪৩ বলে ফিফটি তোলেন সৌম্য আর ঝড়ো ব্যাটে ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিক। তাদের ১৩৬ রানের জুটির ওপর ভর করে ১৮২ রানের পুঁজি পায় খুলনা। ৬২ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন সৌম্য। ৩৮ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মুশফিক।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় সিলেটের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। ৬ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৪১ রান তোলে তারা। পাওয়ার প্লে’র ঠিক শেষ বলে লেন্ডল সিমন্সকে ফেরান নাবিল সামাদ। ১৭ বলে ১০ রান করে লং অফে থাকা সৌম্যের ক্যাচবন্দি হন তিনি।
সিলেটের রানের চাকা সচল রাখা ওপেনার এনামুল হক বিজয়। তবে এই ওপেনারকে ফিফটি তোলার আগেই ফেরান থিসারা পেরেরা। ৩৩ বলে তিনটি করে চার-ছয়ে ৪৭ রান করেন তিনি। খুলনার বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৭২ রান করা মোহাম্মদ মিঠুন গতকাল ফেরেন থিতু হওয়ার আগেই।
তিনে আসা কলিন ইনগ্রামকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক রবি বোপারা। শূন্য রানে তাকে ফেরান পেরেরা। নিজের ব্যাটিংয়ে মনযোগী হতে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দারুণ ব্যাট করেন তিনি। ইনগ্রামকে যোগ্য সঙ্গ দেন মোসাদ্দেক। যদিও তাদের ৫৮ রানের জুটি ভাঙলে সাজঘরে ফেরেন ইনগ্রাম।
২৮ বলে ৩৭ রান করে খালেদ আহমেদের শিকার হন তিনি। শেষ ওভারে সিলেটের প্রয়োজন ছিল ৩৫। প্রথম তিন বলে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে পরপর তিনটি ছয় মেরে চমকে দেন আলাউদ্দিন বাবু। পরের তিন বলে দুই রান দেন এই পেসার। তাতেই ১৫ রানে জয় পায় খুলনা। মোসাদ্দেকের অপরাজিত ৩৯ রানের ভর করে ১৬৭ রানে থামে সিলেট।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.