সাকিবের পিপলস ব্যাংকের আবেদন বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের অনুকূলে ইস্যু করা লেটার অব ইনটেন্ডের (এলওআই) শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় আবেদন বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রস্তাবিত ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক হতে চেয়েছিলেন বিশ্ব সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন পিপলস ব্যাংক লেটার অব ইনটেন্ডের (এলওআই) শর্ত অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৮৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন দেখাতে পারেনি। ফলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকটির এলওআই বাতিল বলে গণ্য করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ।

তিনি আরও বলেন, এলওআই বাতিল হলেও ব্যাংকটির নতুনভাবে আবেদন করতে পারবে।

আগের ১২ জন উদ্যোক্তা পরিচালকের মধ্যে এখন শুধু প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী আছেন। নতুন করে আরও ২১ জন পরিচালকসহ ২৩ জন আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানও আছেন। তবে এ আবেদনের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে কী সিদ্ধান্ত হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং ব্যবসার জন্য লাইসেন্স নিতে চেষ্টা করছে। তবে এলওআইর শর্ত পূরণ না হওয়ায় এ লাইসেন্স পাচ্ছিল না প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কয়েক দফা এলওআইর মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সবশেষ এলওআইর মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। তবে এর আগেই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন পূরণের জন্য সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার বিষয়ে অনাপত্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে প্রস্তাবিত ব্যাংকটি।

গত ডিসেম্বরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার জন্য নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায়। এ বিষয়ে অনাপত্তির আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় ছিল। সাকিব ও তার মায়ের বিনিয়োগ করতে হবে ২০ কোটি টাকা। তবে ২৫ কোটি টাকার মতো মূলধন দিচ্ছেন সাকিব।

এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে দেখা করেন সাকিব আল হাসান। ওই সময় পিপলস ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেমও উপস্থিত ছিলেন।

২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক চলতি বছরের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। আর চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার পর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিটিজেনস ব্যাংক। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও অনিশ্চয়তায় রয়েছে পিপলস ব্যাংক।

অর্থসূচক/মৃত্তিকা সাহা/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.