এপ্রিলের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে দেশের ৫০ শতাংশ এবং মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে দেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় চলে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, যখন কেউ ভ্যাকসিনের (টিকার) কথা ভাবে নাই তখন থেকে আমরা ভ্যাকসিন কিনেছি, এখন আমাদের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আছে। এরই মধ্যে ২৫ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পেরেছি এবং আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসের ভেতর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারবো।

আজ শনিবার (০৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া এলাকায় শুভ্র সেন্টারে সাটুরিয়া ও সদর উপজেলার শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আমাদের জানা ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বর্তমানে করোনা চিকিৎসার জন্য সারাদেশে ১৮ হাজার বেড, ৮০০টি ল্যাব রয়েছে। দেশের সব বড় হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন আছে। করোনা আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পেরেছে।

মন্ত্রী বলেন, ১৮ কোটি জনসংখ্যার ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভালো আছে বলেই মৃত্যুহার অনেক কম। দেশে এখন করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুহার কমে গেছে। আমরা চাই না কোন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাক। কাজেই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

তিনি বলেন, শত বছরের মধ্যে এই ধরনের মহামারি আসে নাই। এই মহামারিতে পৃথিবীতে এ পর্যন্ত ৫০ লাখ মানুষ মারা গেছে। নতুন একটি ভাইরাস, তার গতিবিধি সম্পর্কে আমরা তেমন কিছু জানি না। তার চিকিৎসা কি, কিভাবে তার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, কেউ জানে না। সেই অবস্থা থেকে শুরু করে আমরা এখন অনেকটাই ভালো আছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজায় আপনারা প্রার্থনা করবেন যাতে বাংলাদেশ করোনামুক্ত হয়ে যায়, করোনায় যাতে আর কারো মৃত্যু না ঘটে এবং দেশে যেন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আমরা ১ দিনে ৮০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছি।

তিনি বলেন, দেশে বিশৃঙ্খলা থাকলে ভালোভাবে ধর্মীয় কাজও পালন করা যায় না। কাজেই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকলে এক সাথে কাজ করতে হবে। প্রত্যেক ধর্মই শান্তি, শৃঙ্খলা, সম্প্রীতি এবং মানবতার কল্যাণের কথা বলে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম সুলতানুল আজম খান আপেল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.