মাত্র ৬৩ হাজার জনসংখ্যার দেশ বারমুডা। এত কম জনসংখ্যার মধ্যে থেকেও অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের কীর্তি গড়লেন ফ্লোরা নাফি। টোকিও অলিম্পিকে সাঁতার, সাইক্লিং ও দৌঁড়— মিলিয়ে হওয়া ট্রায়াথলনে ১ ঘণ্টা ৫৫ দশমিক ৩৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হয়ে স্বর্ণ জিতেছেন ফ্লোরা। দেশকে সোনালি সাফল্য এনে দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত এই অ্যাথলেটি।
ফ্লোরা ডাফির হাত ধরে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম স্বর্ণ পদক জিতেছে বারমুডা। একই সঙ্গে বারমুডার ৪৫ বছরের অপেক্ষার অবসানও ঘটিয়েছেন ফ্লোরা। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর অলিম্পিকে বারমুডাকে পদক এনে দিলেন তিনি।
বারমুডার দ্বিতীয় অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকে পদক জিতলেন ফ্লোরা। এর আগে সবশেষ ১৯৭৬ সালে পদক জিতেছিল বারমুডা। সেবার মন্ট্রিল অলিম্পিকে পুরুষদের হেভিওয়েট বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন ক্লারেন্স হিল। সেটি ছিল বারমুডার প্রথম অলিম্পিক পদক।
দেশকে সোনালি সাফল্য এনে দিয়ে ফ্লোরা বলেন, আমার মনে হয়, পুরো বারমুডা এখন পাগলপ্রায় হয়ে গেছে। আর এটাই জয়টাকে আমার কাছে আরও বিশেষ করে তুলছে। হ্যাঁ, এটা আমার স্বপ্ন ছিল। সেই সঙ্গে আমি এটাও জানতাম যে বিষয়টি আমার চেয়েও বড় কিছু। আমি বারমুডার (গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে) প্রথম স্বর্ণপদক জয়ী, প্রথম নারী পদক জয়ী, এটা ভেবেই আমি গর্বিত।
ফ্লোরা আরও যোগ করেন, শেষ কিলোমিটার দৌঁড়ের আগ পর্যন্ত আমি নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলাম, শেষ পর্যন্ত এটা হতে যাচ্ছে- এমন ভাবনা মনে জায়গা নিতে দিচ্ছিলাম না। এরপর ফিনিংশ পথের পাশে আমি আমার স্বামীকে দেখলাম, যে আমার কোচও। তাকে দেখে ছোট্ট একটা হাসি দিলাম। সেখান থেকে আমি আমার সব আবেগকে বেরিয়ে আসতে দিলাম। কিন্তু আমার সত্যি মনে হচ্ছে, আসলে কী ঘটছে আগামী কয়েক দিনেও হয়তো পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারব না।
অর্থসূচক/কেএসআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.