ভারতে ৮৮ দিনে সর্বনিম্ন সংক্রমণ, কমেছে মৃত্যুও

করোনা ভাইরাস মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ভারত। প্রতিদিনই কমছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। গত ৮৮ দিনের মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সবচেয়ে কম মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এছাড়া দৈনিক মৃত্যুও নেমে এসেছে দেড় হাজারের নিচে। কিছুটা কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও।

আজ সোমবার (২১ জুন) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৩ হাজার ২৫৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন সংক্রমিত রোগী কমেছে প্রায় পাঁচ হাজার।

এছাড়া টানা ৮৮ দিন পর ভারতে এই প্রথম একদিনে এতো কমসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হলো। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৩৫ হাজার ২২১ জনে।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪২২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় গত একদিনে মৃত্যু কমেছে দেড় শতাধিক। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৩৫ জন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন অনেক বেশি রোগী। একদিনে করোনা জয় করেছেন ৭৮ হাজার ১৯০ জন। ফলে ভারতে সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৪৪ হাজার ১৯৯ জনে।

ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভারতজুড়ে কড়া বিধিনিষেধের কারণে কমছে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার ভারতে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২ হাজার ৮৮৭ জনে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। কোথাও লকডাউন তো কোথাও আবার রাত্রীকালীন কারফিউ জারি হয়েছিল। সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হতেই সেই কড়াকড়ি কিছুটা হলেও কমানো হচ্ছে। এর মধ্যে বেঙ্গালুরুতে আজ থেকেই শুরু হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। উত্তরপ্রদেশে খুলেছে বার-রেস্তরাঁ।

তবে এর মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র সরকার। করোনাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে বাড়ানো হচ্ছে টিকাকরণের হার।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.