স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু রাখতে চেয়েছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। আর তা সম্ভব না হলে সংগঠনটি ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে রেস্তোরাঁগুলো চালু রাখতে চায়। নতুবা থালাবাটি নিয়ে রাস্তায় নামবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
আজ শনিবার (২২ মে) রাজধানীর বিজয়নগরে সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে এই দাবি তুলে ধরা হয়। সংগঠনটির সভাপতি ওসমান গনির সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলন- মহাসচিব ইমরান হাসান, প্রথম যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে হোটেল খোলা রাখার সুযোগ, শ্রমিকদের প্রণোদনা, মালিকদের এসএমই খাত থেকে ঋণ দেওয়া, ঘর ভাড়া ও গ্যাস পানি বিদ্যুতের বিল মওকুফসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকরা।
লিখিত বক্তব্যে মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, সরকার কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনা মেনে, স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির মাধ্যমে আমাদের হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসাকে সীমিত রেখেছি। এই ব্যবসা মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ। করোনায় যেসব খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারমধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সকল বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও উপজেলা শহর মিলে হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৬০ হাজার। আর এসবে শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ৩০ লাখ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ খাতে মোট নির্ভরশীল সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। এতগুলো মানুষ এখন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।
ইমরান হাসান বলেন, দেশের ১২টি সংস্থা থেকে লাইসেন্স নিয়ে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। তবে এ খাতকে শিল্প ঘোষণা না করায় আমরা কোনো সংস্থা থেকে সহায়তা বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়, খাদ্য নাকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে তাও জানা নেই। এমন পরিস্থিতিতে করোনাকালীন ১ কেজি চালও সহায়তা পাননি কোনো মালিক বা শ্রমিক।
সভাপতি ওসমান গনি বলেন, তারপরও করোনাকালীন আমাদের থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নেওয়ার জন্য জোর-জুলুম চলছে। আমাদের এ ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ অনৈতিক।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আমাদের থালাবাটি নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নেই। আমাদের দাবি না মানলে সারাদেশে আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করব।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যানারে ও সকল হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের পক্ষে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট আরও কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো হোটেল খোলা রাখা, তাও যদি সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ আসনে বসিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু করতে চায় মালিক সমিতি।
এছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে কর্মরতদের সম্মুখযোদ্ধা ঘোষণা দিয়ে দ্রুত করোনার টিকা দেওয়ার নির্দেশনা চান। ভ্যাট-ট্যাক্স কর্মকর্তাদের অসহনীয় আচরণ বন্ধসহ বর্তমানে চালুকৃত বিধিনিষেধগুলো তুলে নেওয়ার দাবি জানান তারা।
অর্থসূচক/কেএসআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.