যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা কিম পটারকে (৪৮) অভিযুক্ত করা হয়েছে। মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ব্রুকলিন সেন্টার শহরে ওই যুবক হত্যার ঘটনা ঘটে। কিম পটারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মাত্রার বা ‘সেকেন্ড ডিগ্রি’ খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিচারে অপরাধ প্রমাণিত হলে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
দান্তে রাইট নামের এক কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যার পর কিম পটার নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তিনি ১ লাখ ডলার জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান।
গত রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে রাস্তায় ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় পুলিশ কর্মকর্তারা দান্তে রাইটের গাড়ি থামান। ২০ বছর বয়সী ওই তরুণের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে নিশ্চিত হলে তাকে গ্রেফতারের উদ্যোগ নেন কর্মকর্তারা।
কিন্তু গ্রেফতার এড়াতে গাড়ির ভেতর ঢুকে পড়েন দান্তে। তখন কিম পটার টেজারের (ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার যন্ত্র) পরিবর্তে ‘ভুলক্রমে’ পিস্তল তুলে তাকে গুলি করে বসেন। তিনি বলছেন, এটি একটি দুর্ঘটনা।
এদিকে কিম পটারের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দান্তে রাইটের পারিবারিক আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেন, এই হত্যাকাণ্ড ইচ্ছাকৃত এবং অবৈধভাবে ক্ষমতার ব্যবহার।
এ ঘটনার দুদিনের মাথায় ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশের প্রধান টিম গ্যানোন ও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা কিম পটার পদত্যাগ করেন।
তবে ঘটনার দ্রুত তদন্ত শেষে বলা হয়, ডন্টি রাইটের মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নয়। কিম পটার ট্যাজারের পরিবর্তে ভুলক্রমে যে হ্যান্ডগান ব্যবহার করে ফেলেছেন, সে বিষয়ে তার ব্যাখ্যা তদন্তকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
এদিকে এ ঘটনায় ব্রুকলিন সেন্টারসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। কিম পটারকে গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও ব্রুকলিন সেন্টার শহরে বিক্ষোভ থামেনি। টানা চতুর্থদিনের মতো ব্রুকলিন সেন্টার শহরে বিক্ষোভ হয়।
শহর কর্তৃপক্ষ বারবার বিক্ষোভকারীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। সন্ধ্যার পর শহরে কারফিউ বলবৎ রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ৭০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সূত্র: বিবিসি।
অর্থসূচক/কেএসআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.