শাল্লায় যাচ্ছে বিএনপির প্রতিনিধি দল

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি পরিদর্শন এবং হামলার শিকার হওয়া সংখ্যালঘুদের খোঁজ-খবর নিতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বিএনপির প্রতিনিধি দল।
আজ শনিবার (২০ মার্চ) সকালে ঢাকা থেকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রওনা দিয়েছেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরো আছেন- বিএনপি নেতা গৌতম চক্রবর্তী, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।

নিপুণ রায় চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতেই সেখানে যাচ্ছি। আমাদের নেতার একটিই কথা- যেখানে নির্যাতন, সেখানেই নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াবে বিএনপি। কারণ বিএনপি হচ্ছে ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল।

প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ দিরাইয়ে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। পরদিন মামুনুলের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন নোয়াগাঁওয়ের এক যুবক। এই স্ট্যাটাসের জেরে হিন্দু অধ্যুষিত ওই গ্রামটিতে হামলা চালিয়ে ৯০টিরও বেশি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনায় দু’টি মামলা এবং যুবলীগ নেতা স্বাধীন মেম্বারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পর থেকেই ওঠে আসে স্বাধীন মেম্বারের নাম। হামলার পরদিন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়ের করা মামলায়ও স্বাধীন মেম্বারকে আসামি করা হয়।

স্বাধীনের বাড়ি শাল্লার পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার নাচনি গ্রামে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলাকারীদের বেশিরভাগই আসে স্বাধীনের গ্রাম দিরাইয়ের নাচনি থেকে। স্বাধীন মেম্বার নিজে হামলাকারীদের নেতৃত্ব দেন। তার উপস্থিতিতেই হামলা হয়। স্বাধীন মেম্বারের সঙ্গে জলমহাল নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জেরে মামুনুল অনুসারীদের উসকে দিয়ে তিনি এই ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.