
ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আল শাবাবের বিরুদ্ধে সোমালিয়ায় যুদ্ধ করতে গিয়ে আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) সেনারা নারী ও শিশুদের ধর্ষণ করেছে।
সোমবার এই অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ধর্ষণের শিকার কারও কারও বয়স ১২ বছর। এই সেনারা ধর্ষণের বিনিময়ে তাদেরকে খাদ্য ও অর্থ দিয়েছে।
বিবিসি, টেলিগ্রাফ ও গ্লোবএন্ডমেইলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরও জানিয়েছে, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর ২১ নারী ও মেয়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছে তারা। যারা বলেছে, আফ্রিকান ইউনিয়নের সেনাবাহিনীর অধীন উগান্ডা ও বুরুন্ডিয়ার সেনারা তাদের ধর্ষণ করেছে।
এ ব্যাপারে আফ্রিকান ইউনিয়ন সেনা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
প্রসঙ্গত, আল কায়েদার মদদপুষ্ট আল শাবারের বিরুদ্ধে ২০০৭ সাল থেকে সোমালিয়ার সেনাবাহিনীর সাথে লড়ছে এইউর ৬ দেশের ২২ হাজার সেনা।

এর আগে ২০১১ সালে দুর্ভিক্ষের সময় সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর সেনা ক্যাম্পগুলো থেকে ধর্ষিত হয়ে গ্রামে পালিয়ে যায় নারীরা।
মানবাধিকার সংস্থাটির বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ১৫ বছরের এক মুসলিম মেয়ে বলেছে, ধর্ষণের আগে তার মাথার কাপড় জোর করে খুলে দেয় সেনারা।
কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় আল শাবাব নেতা আহমেদ আবদি গোদানে নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। সেই থেকে সোমালিয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এস রহমান/