
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক (কবর) সরানোর প্রস্তাবকারীদের কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য সৌদি আরবের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছুন্নী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ প্রস্তাবের প্রতিবাদে ছুন্নী আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে ছুন্নী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বারী জাকারিয়া বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক সরানোর এক ভয়াবহ চক্রান্ত চলছে। এ চক্রান্ত কোনো ভাবেই সফল হতে দেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, দুনিয়ার সব ঈমানদার প্রাণের বিনিময়ে হলেও এ চক্রান্ত প্রতিরোধ করবে।
এ সময় চক্রান্ত প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার হওয়ার এবং বাংলাদেশ, জাতিসংঘ ও বিশ্বের সকল দায়িত্বশীল সরকারকে সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছুন্নী আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ইমাম হায়াৎ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার এক খবরে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মসজিদে নববীর তদারকদের কাছে পাঠানো কনসালটেশন ডকুমেন্টে মহানবীর দেহাবশেষ বর্তমান রওজা থেকে সরিয়ে জান্নাতুল বাকীতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। সৌদি আরবের এক শীর্ষস্থানীয় আলেম প্রথম এই পরিকল্পনার কথা ফাঁস করেন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মুসলিম প্রতিবছর মসজিদে নববী পরিদর্শনে যান। অনেকে মুহাম্মদ (সা.) এর রওজায় দোয়া প্রার্থনা করেন। সৌদিতে প্রভাবশালী ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসী আলেমদের মতে, এ ধরনের আচরণ ইসলামে কঠোরভাবে ‘নিষিদ্ধ বা শিরক’।
যদিও এ নিয়ে ইসলামের বিভিন্ন শাখায় মতভেদ রয়েছে। মূল ধারার সুন্নি এবং শিয়ারা একে প্রার্থনার অংশ বলেই মনে করেন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শিরক ঠেকাতে মুহাম্মদ (সা.) এর দেহাবশেষ স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদিও এ পর্যন্ত সৌদি সরকার সে পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তবে এ ধরনের উদ্যোগ মুসলিমদের মধ্যে নতুন করে বিভাজন ও সংঘাত ছড়িয়ে দিতে পারে বলে আশংকা করছেন দেশটির ইসলামি চিন্তাবিদরা। কেননা, সুন্নি এবং শিয়া উভয় সম্প্রদায় মুহাম্মদ (সা.) এর রওজাকে পবিত্র স্থান মনে করে। তাই তাঁর রওজায় হস্তক্ষেপ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা ছড়িয়ে দিতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমআই/