
স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে দেশটির অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য স্কচ হুইস্কির ভবিষ্যৎ। বিশেষ করে, যুক্তরাজ্যে থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর ইউরোপসহ বিশ্বের প্রধান প্রধান বাজারে হুইস্কির প্রবেশাধিকার এবং বাজারজাতকরণ হুমকির মুখে পড়তে পারেন বলে মনে করছে স্কটিশ প্রস্তুতকারকরা।
বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে স্বাধীন স্কটল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব কতটা থাকবে, তা নিয়েও হুইস্কি ব্যবসায়িরা চিন্তিত। যুক্তরাজ্যের হয়ে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়, তা হয়তো নাও পাওয়া যেতে পারে। নতুন নতুন কর এবংনতুন ট্যারিফের ফলে বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হতে পারার আশঙ্কা তো আছেই।
এ সম্পর্কে স্কটিশ হুইস্কি ইউনিয়নের মুখপাত্র ডেভিড উইলিয়ামস জানান, কোনও সন্দেহ নেই, অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
তবে যুক্তরাজ্য থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া এখনও নিশ্চিত নয়। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হওয়ার ব্যাপারে অনুষ্ঠেয় গণভোটেই তা নির্ধারিত হবে। সাধারণের মতামত নিয়ে হুইস্কি ব্যবসায়ীরা কিছু বলতে চাইছেন না।
উইলিয়ামস বলেন, স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যৎ স্কটল্যান্ডের মানুষ নির্ধারণ করবে, স্কচ হুইস্কি শিল্পের এখানে কিছু বলার নেই।
প্রসঙ্গত, তেল-গ্যাসের পর হুইস্কিকে স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শিল্প হিসেবে গণ্য করা হয়। এ অঞ্চল থেকে বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ২০০টিদেশে বছরে প্রায় ৫০০কোটি পাউন্ডের হুইস্কি রপ্তানি হয়। স্কটল্যান্ডের মোট রপ্তানির ২০শতাংশ হুইস্কি থেকেই আসে। পাশাপাশিযুক্তরাজ্যেরখাবার ও পানীয়ের মোট রপ্তানির এক-চতুর্থাংশ হুইস্কি থেকে আসে।
স্বাধীনতাকামী স্কটিশ আঞ্চলিক সরকারের স্বাধীন হলে দেশের অর্থনীতির বিকাশে যা যা করার দরকার সব করার ঘোষণা দিয়েছে।
কিন্তু এতেও ভরসা পাচ্ছেন না স্কটিশ হুইস্কি ব্যবসায়িরা। স্বাধীন হলে ইউরোপের বাজারেই ধাক্কা খেতে পারে স্কটিশ হুইস্কি। কেননা, স্বাধীন হলে স্কটল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য থাকবে কিনা নিশ্চিত নয়। ইউরোপ এবং বাইরে বিভিন্ন বাজারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্যদের পক্ষে দেন দরবার করে বাণিজ্য চুক্তি করে। যেমনটি ঘটে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে।