জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত যে প্রস্তাব পাস হয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
মঙ্গলবার ভোরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, উপত্যকা থেকে দখলদার সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বন্দি বিনিময়, গাজার পুনর্নির্মাণ, গাজাবাসীর নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন, গাজার আয়তন হ্রাস না করা এবং এই উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশ করতে দেয়া সংক্রান্ত যে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে তাকে হামাস স্বাগত জানায়।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে বলে এটির ধারাগুলো বাস্তবায়নের জন্য পরোক্ষ আলোচনায় বসার ব্যাপারে হামাস মধ্যস্থতাকারীদের সহযোগিতা করতে নিজের প্রস্তুতি ঘোষণা করছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের জাতীয় অধিকার আদায়, দখলদারদের বিতাড়িত করা, জেরুজালেম আল-কুদসকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ডে প্রত্যাবর্তন ও নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করার অধিকার আদায়ের জন্য সমস্ত ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে একসাথে সংগ্রাম ও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেয়।
এর আগে সোমবার রাতে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং পণবন্দিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনা প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় এবং রাশিয়া ভোটদানে বিরত থাকে।
সাত ধারাবিশিষ্ট ২৭৩৫ নম্বর প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, তিন ধাপে গাজা উপত্যকায় একটি সার্বিক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রস্তাবে গত ৩১মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষিত যুদ্ধবিরতি ইসরাইলের পক্ষ থেকে গ্রহণ করার বিষয়টিকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি হামাসকেও তা মেনে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। হামাস প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানালেও ইহুদিবাদী ইসরাইল এখনও এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.