পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে কারাবন্দি সাবেক প্রথানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইসনাসফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্ররা ১০১টি আসনে জয়ী হয়েছে৷ অন্যদিকে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রীনওয়াজ শরিফের দল ৭৫টি আসনে জয়ী হয়েছে৷ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে সমর্থনকারী পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি আসন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে৷ অনান্য এগারোটি দল জাতীয় পরিষদে মোট ৩৪টি আসন পেয়েছে৷
এই ফলাফলে খুশি নয় পিটিআই সমর্থকেরা। ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে দেশের নানা জায়গায় পিটিআই সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছে। ইমরান খানের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। রাওয়ালপিন্ডি শহরে এবং পূর্ব লাহোরে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। একাধিক শহরে বিক্ষোভ দেখান ইমরান খানের সমর্থকেরা।
এদিকে কারাবাসে থাকায় ইমরান খানের দল পিটিআই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি৷ তাই ইমরানের সমর্থকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিতে হয়েছিল৷ তবে সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও স্বতন্ত্ররা সরকার গঠন করতে পারবে না। পিটিআই নেতাদের দাবি, ভোট কারচুপি না হলে তারা আরও বেশি আসন পেতেন।
ইসলামাবাদের পুলিশ বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু ব্যক্তি নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সরকারি অফিসের আশেপাশে অবৈধ সমাবেশে উসকানি দিচ্ছে। বেআইনি সমাবেশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা উল্লেখ্য, জমায়েতের জন্য অনুরোধ করাও একটি অপরাধ।
রাওয়ালপিন্ডিতেও একইরকম সতর্কতা জারি করা হয়। লাহোরের লিবার্টি মার্কেটের কাছে সংঘাত এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। রাওয়ালপিন্ডিতে একাধিক পিটিআই সমর্থকদের জমায়েতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। নির্বাচনী অফিসে বিক্ষোভ-অবস্থান বন্ধ করার আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছিল পিটিআই সমর্থকেরা। লাহোরে প্রায় ২০০ জন পিটিআই সমর্থকের আরেকটি সমাবেশ দ্রুত ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দক্ষিণে করাচিতে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ এলাকা খালি করার নির্দেশ দিলেও সে কথা শোনেননি ইমরানের সমর্থকেরা। সূত্র: ডিডাব্লিউ, ডিপিএ, রয়টার্স
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.