হিজবুল্লাহকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ওয়াগনার

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে অত্যাধুনিক এসএ-২২ গ্রেহাউন্ড ক্ষেপনাস্ত্র (Pantsir-S1) দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রুশ ভাড়াটে সেনা দল ওয়াগনার। এটি মূলত আকাশ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা। বর্বর ইসরাইলের বিমান হামলা রুখতে এই ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহার করবে হিজবুল্লাহ। এই অস্ত্র ইসরাইলের সঙ্গে চলমান লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ডেইলি মেইল, টাইমস অব ইসরায়েলসহ একাধিক পত্রিকা এমন খবর প্রকাশ করেছে। একটি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

হিজবুল্লাহর কাছে এসএ-২২ ক্ষেপনাস্ত্র সরবরাহের সম্ভাবনার খবরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলে। হিজবুল্লাহ ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান চালালে তারা ইসরায়েলের উপর পাল্টা হামলা চালাবে। তবে ইসরায়েলের বিমান হামলার ভয়ে তারা বাস্তবে ততটা আগ্রাসী ছিল না। কারণ ইতোমধ্যে ইসরায়েল লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর একাধিক অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে। কিন্তু হিজবুল্লাহর হাতে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্র চলে এলে তাদেরকে দমিয়ে রাখা কঠিন হবে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পেট রাইডার বলেছেন, বিষয়টি (হিজবুল্লার কাছে এসএ ২২ সরবরাহ) যদি সত্যি হয়, তাহলে তা হবে খুবই উদ্বেগের বিষয়।

রাশিয়ার উৎপাদিত এসএ-২২ গ্রেহাউন্ড ক্ষেপনাস্ত্র মূলত ট্রাকে বহনযোগ্য ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থা। এটি ভূমি থেকে সরাসরি শত্রুর উপর ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়তে পারে। আবার ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়ে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ইত্যাদি ঘায়েল করতেও দারুণ কার্যকর। এমনকি এটি ব্যালেস্টিক মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল ইত্যাদিও ধ্বংস করে দিতে পারে।  এ ক্ষেপণাস্ত্রটি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও ব্যবহার করেছে রাশিয়া।

রিপোর্টে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সমর্থনকারী দল হিজবুল্লাহকে এসএ-২২ ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার জন্য আলোচনা চালাচ্ছে ওয়াগনার। ইসরাইলের বিমান হামলা ঠেকাতে এ অস্ত্র আনতে চাইছে হিজবুল্লাহ। ওয়াগনার ও হিজবুল্লাহর এ আলোচনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এসএ-২২ ক্ষেপণাস্ত্রটি এখনো পায়নি হিজবুল্লাহ। এই অস্ত্রটি পেতে সিরিয়ায় ওয়াগনার ও হিজবুল্লাহর প্রতিনিধি দল আলোচনা চালাচ্ছে।

এ নিয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।