তাজিন আহমেদকে হারানোর পাঁচ বছর

এক সময়ের নন্দিত টেলিভিশন অভিনেত্রী তাজিন আহমেদকে হারানোর পাঁচ বছর আজ (২২ মে)। ২০১৮ সালের এই দিনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। তার বিদায়ে শোকের ছায়া নেমেছিল শোবিজ অঙ্গনে।

তাজিন আহমেদের জন্ম নোয়াখালী জেলায়। তার বাবা কামাল আহমেদ এবং মা দিলারা জলি। ১৯৯২ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৪ সালে ভোরের কাগজ ও ১৯৯৭ সালে প্রথম আলোতে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন। ১৩ বছর সাংবাদিকতা করেছেন তাজিন।

মা দিলারা জলি রচিত ও শেখ নিয়ামত আলী পরিচালিত ‘শেষ দেখা শেষ নয়’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তাজিন আহমেদের অভিনয়যাত্রা শুরু হয়েছিল। নাটকটি ১৯৯৬ সালে বিটিভিতে প্রচার হয়। এরপর তিনি অসংখ্য নাটক-টেলিছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনাও করেছেন তিনি। এনটিভিতে বাচ্চাদের প্রোগ্রাম ‘টিফিনের ফাঁকে’ দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপনা যুক্ত ছিলেন। ১০ বছর ধরে এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছেন তিনি। তবে বিটিভির ‘চেতনা’ নামের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই উপস্থাপনার যাত্রা শুরু করেছিলেন। তারপর অসংখ্য অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন তাজিন আহমেদ।

তাজিন আহমেদ ‘পিপলস রেডিও’তে ‘শহুরে সন্ধ্যা’ নামের একটি লাইভ অনুষ্ঠানের আরজেও ছিলেন। এ ছাড়া তিনি মঞ্চেও কাজ করেছেন। যুক্ত ছিলেন ‘নাট্যজন’ নাটক দলের সঙ্গে। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ নাট্যদলে যোগ দেন।

২০০৪ সালে তিনি নাটক লেখালেখি শুরু করেন। মোট ১২টি নাটক লেখেন ও পরিচালনা করেছেন। তার লেখা ও পরিচালনায় তৈরি হয় ‘যাতক’ ও ‘যোগফল’। উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘অনুর এক দিন’, ‘এক আকাশের তারা’, ‘হুম’, ‘সম্পর্ক’ ইত্যাদি।

তার অভিনীত নাটকের মধ্যে রয়েছে ড. মোহিত কামালের ‘মন’ উপন্যাস অবলম্বনে নাটক ‘মন’। দ্বীপংকর দীপনের রচনা ও পরিচালনায় এক খণ্ডের নাটক ‘জলসত্ত্বা’ ও অরুণ চৌধুরীর রচনা ও পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক ‘নন্দন কানন’ নাটক। আরও আছে চাচা ইভেন্ট কোম্পানি, ভয়ংকর সুন্দরদিন, গ্রামের নাম শিমুলপুর, ‘স্মৃতির আলপনা আঁকি, বিদেশি পাড়া।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.