ক্যানসারে আক্রান্ত স্যাম বিলিংস

স্কিন ক্যানসারে ভুগছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার স্যাম বিলিংস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এমন ক্যানসার থেকে সুরক্ষা পেতে সতীর্থদের প্রতি সচেতনতার আহ্বান করেছেন এই ইংলিশম্যান।

ত্বকের ক্যান্সারের প্রধানত তিন ধরনের মধ্যে রয়েছে ‘মেলানোমা’। ইংলিশ কাউন্টিতে নিজ দল কেন্টের রুটিন চেক-আপে স্কিন ক্যানসার ধরা পড়ে বিলিংসের। যদিও সেটা এখনও ভয়াবহ পর্যায়ে যায়নি বলেই দাবি করেছেন তিনি।

দ্য টেলিগ্রাফকে স্যাম বিলিংস বলেন, ‘আমার মেলানোমা ছিল ০.৬ মিলিমিটার গভীর। ০.৭ মিলিমিটার গভীর হলেই সেটি অনেক বেশি বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতো। আমি যদি সেদিনের মিটিংয়ের যাবার কারণে স্ক্রিনিং টেস্ট না করতাম এবং আগামী ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো আমাকে। তখন এটি আরও বেশি ভয়াবহ হতো। মার্জিনগুলো খুব ছোট কিন্তু এগুলো ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে।’

৩১বছর বয়সী এই ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘এই ঘটনা অনেক বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে আমাকে। বহু বছর ধরে এমনটাই করার চেষ্টা করেছি। অনেক সময় মাঠে পানি নিয়ে যেতে হতো আমাকে। আপনি বুঝতে পারেন ক্রিকেটই সবকিছু নয়। এটা সঠিক সময়ে বুঝতে পারাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি আমাকে আরও বেশি সহানুভূতিশীল করে তুলেছে।’

ক্যানসার মানেই কোষের অস্বাভাবিক বিকাশ। এটা সহজেই শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ত্বক থেকে উদ্ভূত ক্যানসার ছড়িয়েও পড়তে পারে দ্রুত। অনেক ক্ষেত্রে সূর্যের অতিরিক্ত তাপ থেকেও জন্ম নেয় এমন রোগের।

বিলিংস আরও বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র পেশাদার ম্যাচের কথা বলছি না। ক্লাব ক্রিকেটার এবং খেলা দেখতে আসা ভক্তদেরও বলছি। সম্প্রতি আমি লর্ডসে খেলেছি যেখানে ২৫ ডিগ্রি না হবার পরও সূর্যের তাপ ছিলো। ১৮ ডিগ্রিতেও সূর্যের রশ্মিতে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন। আমি ক্রিকেটে সবাইকে নিয়ে একত্রে কাজ করতে দেখতে চাই।’

ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত তিনটি টেস্ট, ২৮টি ওয়ানডে এবং ৩৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন বিলিংস। বেশ কয়েকমাস ধরেই জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন তিনি। শেষবার গত বছরের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলেছিলেন তিনি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.