টেকসই শিল্পায়নে প্রণোদনা দাবি

পরিবেশ বান্ধব কারখানা স্থাপন করে সামাজিক স্বীকৃতি মিলেছে। কিন্তু ব্যবসার মুনাফায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। বরং উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। এতে ব্যবসা পরিচালনা তঠিন হয়ে পড়েছে। তাই প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে উদ্যোক্তাদের আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে সরকারের প্রণোদনা জরুরি। একই সঙ্গে পরিবেশ বান্ধব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের বাড়তি দাম নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আরণ্যক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘ন্যাচারাল রিসোর্সেস কনজারভেশন: স্কোপ অব প্রাইভেট সেক্টর এনগেজমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এবং বিকেএমইএ ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি মো. ফজলুল হক।

বিশেষ অতিথি বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজীম বলেন, ‘বর্তমানে পরিবেশ বান্ধব তৈরি পোশাকের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশ সবচেয়ে পছন্দের বাজার। বর্তমানে দেশে ১৯৫টি লিড সনদধারী পোশাক কারখানা রয়েছে। পরবর্তী প্রজন্মকে একটি পরিচ্ছন্ন পৃথিবী উপহার দিতে বিজিএমইএ ফোর আর তথা রিইউজ, রিডিউস, রিসাইকেল, রিকভার ধারণা বাস্তবায়ন ও তাপ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে।’

ইউএসআইডির ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ শাহাদাত হোসাইন শাকিল বলেন, `তাপমাত্রা বাড়লে কিংবা উপকূলীয় অঞ্চল প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্লাবিত হলে ব্যবসাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই ব্যবসা বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধির জন্যও পরিবেশকে ঠিক রাখা জরুরি। তবে ভলান্টারি কার্বন মার্কেটে ট্রেডিং করে প্রনোদনা পাওয়া সম্ভব।’

গেস্ট অব অনারের বক্তব্যের বিএসআরএম’র হেড অব ব্র্যান্ডিং ফারাহ শাহরুখ রাজা বলেন, ‘পরিবেশের কথা চিন্তা করেই বর্জ্যকে পণ্যে পরিণত করা হচ্ছে।’

স্বাগত বক্তব্যে আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল বলেন, টেকসই উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব।’

বাংলাদেশে প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসসোশিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, বর্তমানে প্লাস্টিক খাতকে সবুজ শিল্পে পরিণত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.