ঢাবির পরীক্ষায় কান-মুখ খোলা রাখার নোটিশ স্থগিত করল হাইকোর্টে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীর পরিচয় শনাক্তে কান ও মুখ খোলা রাখার নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাবির বাংলা বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীর পরিচয় শনাক্তে কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে রিটকারী আইনজীবী ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় ছাত্রীদের কানসহ মুখ খোলা রাখার নির্দেশ এবং তা না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল, প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য পরীক্ষা চলাকালে মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখতে হবে। এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এ সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, একাডেমিক কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না, তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে ক্লাস, প্রেজেন্টেশন ও পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র নির্বিঘ্নে হিজাব-নিকাব পরার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান ছাত্রীরা।

পরে এ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। রিটে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিসট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.