এমন সেঞ্চুরি আগে দেখেননি লিটন

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ধীর গতিতে রান তুলছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এই দুজনে ৯.৫ ওভারে তুলেছিলেন মাত্র ৪২ রান। পাওয়ার প্লের শেষ বলে তামিম ইকবাল কাঁটা পড়েন মাত্র ২৩ রান করে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গড়েছেন লিটন। দুজনই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। লিটন ৭০ রান করে আউট হয়েছেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান। এরপর দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারালে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল।

এরপর বাকি সময়টা ছিল মুশফিকুর রহিমময়। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন আইরিশ বোলারদের ওপর। ৩০ ওভারের পরে নেমে সেঞ্চুরি করে অনন্য এক রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন তিনি। ৬০ বলে সেঞ্চুরি তুলে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন তিনি। আর তাতে ভর করে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করতে পারে। এই ইনিংস খেলার পথে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন মুশফিক। তার ১৪ চারের পাশাপাশি ছিল ২টি ছক্কাও। বৃষ্টির কারণে মুশফিকের সেই সেঞ্চুরি পূর্ণতা পায়নি ঠিকই।

তবে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে লিটনের কণ্ঠে ঝড়লো মুগ্ধতা। লিটন জানিয়েছেন, ‘ফিলিংস তো অনেক ভালো। সত্যি কথা বলতে আমি যতদিন খেলতেছি বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় শেষদিকে গিয়ে ১০০ করে নাই। যখন দল থেকে কেউ এরকম একটা সেঞ্চুরি করে, দেখলে অনেক ভালো লাগে। সিনিয়ররা কেউ করলে তো আরও ভালো লাগে।’

ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিক আর তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৮ রান। এই জুটির বেশিরভাগ রানই এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে। এই জুটিতে ৪৬ বলে ৭৮ রান অবদান রেখেছেন মুশফিক। বাকি ৪৮ (৩২) রান এসেছে হৃদয়ের ব্যাট থেকে। ছয় নম্বরের পরে নেমে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আরও পাঁচ ব্যাটার। তারা হলেন অলক কাপালি, নাসির হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মুশফিক এই ম্যাচে নেমেছিলেন ৩৪ তম ওভারে। এতো কম ওভার বাকি রেখে খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করতে পারেননি বাংলাদেশের আর কেউ।

মুশফিকের এমন ব্যাটিং দেখা গিয়েছিল আগের ম্যাচেও। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ২৬ বলে ৪৪ রানের টি-টোয়েন্টিসুলভ ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। লিটন মনে করেন আগের ম্যাচেও মুশফিকের কল্যাণেই বাংলাদেশের ইনিংস ৩০০ পেরিয়েছিল।

লিটনের ভাষ্য, ‘মুশফিক ভাইয়ের শুধু আজকের ইনিংস না, শেষ ম্যাচের ইনিংসটা যদি দেখেন আমার মনে হয় অসাধারণ ছিল। যদিও রান বেশি না, ৪০ বা এর বেশি ছিল; এটা কিন্তু বিগ মার্জিন তৈরি করে দেয় ৩০০ প্লাস করতে। আজকের ইনিংসটা তো ডিফারেন্ট বল গেম করে দিয়েছে মুশফিক ভাইয়ের ইনিংসটা। ম্যাচটা হলে অবশ্যই ভালো লাগতো। কিন্তু এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।’

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.