মালয়েশিয়ায় কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত

মালয়েশিয়ায় কাজ করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ যায়।কিন্তু মালায়েশিয়া ঘোষণা দিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদেশী কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত।

শনিবার (১৮ মার্চ) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রথম ধাপে অনুমদন পাওয়া ৯ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৬ জন শ্রমিককে মালয়েশিয়ায় কাজ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নিয়োগকর্তারা যেন এখন সুষ্ঠুভাবে এসব শ্রমিকদের নিয়ে আসতে পারেন এবং তারা কাজে ভালোভাবে যোগ দেতে পারে তারপর আবার এ প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তাই এই কিছু সময়ের জন্য শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, নতুন শ্রমিক আসার অনুমোদনের নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। এরমধ্যে যেসব নিয়োগদাতা অবৈধ কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন সেটিও থাকবে। মানে অবৈধদের বৈধভাবে কাজ করার অনুমোদনও স্থগিত হয়ে গেছে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রী শিবকুমার বলেছেন, ‘আমরা ১৪ মার্চ পর্যন্ত সব সেক্টর নির্মাণ, মেরামত, উৎপাদন, কৃষি, খনি এবং খনন ও বৃক্ষরোপণের জন্য ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৬ জনকে কাজের অনুমোদন দিয়েছি।’

তার মতে, এখন পর্যন্ত যতজন শ্রমিককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেটি পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট।

এছাড়া অনুমোদনপ্রাপ্ত শ্রমিকদের দ্রুত নিয়ে আসারও অনুরোধ জানিয়েছেন শিবকুমার। তিনি বলেছেন, বর্তমানে অনুমোদনপ্রাপ্তের তুলনায় কম শ্রমিক আসছেন।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। এরপর মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার পর ২০২২ সালের ৮ আগস্ট থেকে আবারও দেশটিতে যাওয়া শুরু করেন দেশী প্রবাসীরা।

গত ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩ জন কর্মী মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন পান। এরমধ্যে ৫ মার্চ পর্যন্ত দেশটিতে গিয়ে পৌঁছেছেন ১ লাখ ২১ জন কর্মী।

অর্এথসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.