ব্যাটিংয়ে বর্ষসেরা মিরাজ, বোলিংয়ে ইবাদত

প্রথম ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে অসম্ভব জয় এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। পরের ম্যাচে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে টেনে তোলে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে করেছেন সেঞ্চুরি। মিরাজের এমন পারফরম্যান্সে সিরিজও জিতে নেয় স্বাগতিকরা।

এদিকে বাংলাদেশের অলরাউন্ডদের ব্যাটিং প্রদর্শনীকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। ক্রিকেটভিত্তিক এই ওয়েবসাইটের ২০২২ সালের বর্ষসেরা ওয়ানডে ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন মিরাজ। এদিকে টেস্ট বোলিংয়ে বর্ষসেরা পারফরম্যান্সের পুরস্কার গেছে ইবাদত হোসেনের কাছে। মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ডানহাতি এই পেসার। যার ফলে জয়ের দেখাও পেয়েছিল বাংলাদেশ।

ঘরের মাঠে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতেই ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মিরাজ যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান মাত্র ৬৯। এমন সময় আটে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন মিরাজ।

সময় যত বাড়তে থাকে ভারতীয় বোলারদের উপর তত বেশি ছড়ি ঘুরাতে থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার। বাহারি সব শটে ৮৩ বলে খেলেন অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুুরি। ওয়াসিম জাফর, ইয়ান বিশপ, সাইমন ডুল, ডেইল স্টেইন, টম মুডিদের চোখে তাই বছরের সেরা ওয়ানডে ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন মিরাজ।

এদিকে মাউন্ট মঙ্গানুইতে রূপকথার গল্প লেখা ইবাদত জিতেছেন ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা টেস্ট বোলিং পারফরম্যান্সের অ্যাওয়ার্ডস। স্বপ্নের মতো টেস্টটা হয়তো কখনই ভুলতে চাইবেন না ইবাদত। ডানহাতি এই পেসার স্বপ্নটা বুনেছিলেন টেস্টের চতুর্থদিনের শেষ বিকেল।

দিনের শেষ সেশনে ইবাদতের ৭ বলের স্পেলে দুমড়ে মুচড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। মাত্র ৭ বলের মাঝে ফেরান কিউইদের তিন ব্যাটারকে। স্মরণীয় সেই স্পেল ডানহাতি এই পেসার শেষ করেছিলেন ৭ ওভারে ৩ মেইডেন, ১৫ রান আর ৩ উইকেট নিয়ে। শেষ দিনে রস টেলরকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন ৫ উইকেটও। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ইবাদতের বোলিং ফিগার ছিল ৪৬ রানে ৬ উইকেট। ইবাদতের সেই বোলিংকেই বছরের সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে ওয়েবসাইটটি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.