সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আ.লীগ দশ শতাংশ ভোটও পাবে না: মঈন খান

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী সরকার বলছে তারা দেশের অনেক উন্নয়ন করেছে, জনগণ তাদের ভালোবাসে। তাহলে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন কেন দিচ্ছে না? কারণ আওয়ামী সরকার জানে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা দশ শতাংশ ভোটও পাবে না।

শুক্রবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুল মঈন খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশকে দুটো কারণে স্বাধীন করেছিল। এক গণতন্ত্র আর দ্বিতীয় দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। কিন্তু বর্তমান সরকার কি দেশে গণতন্ত্র বজায় রেখেছে? কেন এদেশে একদলীয় বাকশাল অলিখিতভাবে পুনরায় চালু করা হয়েছে? যে বাকশালে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই, মানুষের দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, নিজস্ব কথা বলার স্বাধীনতা নেই, সেদেশে কীভাবে গণতন্ত্র থাকতে পারে?

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল স্বাধীনচেতা ছিল। এ দেশে মানুষ কখনো লক্ষ-কোটি টাকা চায়নি। তারা সবসময় চেয়েছে দু মুঠো ভাত আর কথা বলার স্বাধীনতা। কিন্তু আজকের সরকার সেই কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করেছে, ভোটাধিকার হরণ করেছে, নারীর অধিকার হরণ করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য সংবিধান। সংবিধান প্রণয়নের পর থেকে বারবার মানুষের প্রয়োজনেই তা পরিবর্তন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছে। অথচ ১৯৯৬ সালেই এই আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা দাবি করেছিল। তো সেই হালাল সরকার আজ কেন হারাম হয়ে গেল? অথচ সেসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার পর খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছাড়তে একমুহূর্ত বিলম্ব করেননি।

তিনি বলেন, সরকারের আজ মাথা খারাপ হয়ে গেছে। একজন বলে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন, আরেকজন বলেন রাজনীতি করতে পারবেন না। কারণ তারা উপলব্ধি করেছে যে দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ভালোবাসে। সরকার দেখুক, আমরা যে দশটি বিভাগীয় সম্মেলন করেছি, তাতে লাখ লাখ মানুষ এসেছে। তারা সবাই বিএনপি নয়, তারা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তারা দেখিয়ে দিয়েছে তারা আর এই সরকার চায় না। তাদের অভিপ্রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকার সসম্মানে চলে যাক।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তরে মম শহীদ জিয়ার উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান প্রমুখ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.