বিএনপির রাজনীতি ছিল ভোগের বস্তু; দুর্নীতিই ছিল একমাত্র নীতি: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির রাজনীতি ছিল ভোগের বস্তু; দুর্নীতিই ছিল একমাত্র নীতি বলে মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি তাদের আমলে লুটপাট করেছে এবং তারা দেশের কোনো উন্নয়ন করেনি। তাদের সুনির্দিষ্ট কোন নীতি-আদর্শ ছিল না। বিএনপির কাছে রাজনীতি ছিল ভোগের বস্তু; দুর্নীতিই ছিল তাদের রাজনীতির একমাত্র নীতি। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ফলে দেশের সকল মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে যাচ্ছে। জনগণ ভালো আছে।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিরাচরিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন খুলে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে, জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে আজ জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন দেখে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কোন উৎসবে যাননি। তিনি নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ ক্যান্টনমেন্ট উদ্বোধনের জন্য গিয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছেন। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সশস্ত্র বাহিনী নীতি’ প্রণয়ন করেছিলেন। সেই আলোকে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফোর্সেস গোল-২০৩০ নির্ধারণ করেছেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা একে একে রামু ক্যান্টনমেন্ট, বরিশালে শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট, মাওয়ায় শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট এবং কিশোরগঞ্জের হাওড় অঞ্চলে আজ একটি ক্যান্টনমেন্ট উদ্বোধন করলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জীবনমানের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বাদ যায়নি এক সময়ে মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন অবহেলিত হাওড় অঞ্চলও।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ পর পর দুইবার সফলতার সঙ্গে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষ করতে যাচ্ছেন। এ উপলক্ষ্যে সেখানে একটি সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করেছেন। এখানে কোনো উৎসবের আয়োজন করা হয়নি। শেখ হাসিনার শাসনামলে হাওড় অঞ্চলে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটেছে। শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে উন্নয়নের ফলে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্মিত হচ্ছে উড়াল সেতু। এ সকল পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে সুধী সমাবেশের আয়োজন হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি আমলে ২১৯ দিনের মাথায় তাদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে তাদের দলের ক্যাডাররা রেললাইনে ধাওয়া করেছিল যা দেশবাসী ভুলে যায়নি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক শাসক খুনি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম-কে বন্দুকের মুখে উৎখাত করেছিল। বিএনপি আমলে রাজাকার আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মতো মানুষকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল। তাদের আমলে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন জনগণের কাছে ‘ইয়েস উদ্দিন’ নামে অবহিত হয়েছিলেন। সুতরাং দেখা যায়, বিএনপির সময় যারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তারা অপদস্থ, অসম্মানিত ও অপমানিত হয়েছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.