বন্ডের অপব্যবহার কমাতে হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

বন্ডের অপব্যবহারের যায়গাটা খুঁজে বের করতে হবে। এটি দেশের অর্থনীতিতে কি ক্ষতি করছে তা দেখতে হবে। আমাদের বন্ড অটোমেশন প্রজেক্ট চলছে। খুব শীগগিরই এর কাজ সম্পন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডর (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এনবিআর আয়োজিত ‘২০২৩-২০২৪’ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রাক বাজেট সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক চার্জিং পোর্ট স্টেশন হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে। ২০৪১ সালের লক্ষ্যার্জনে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গাড়ি শুধু আমদানি করলে চলবে না। হাতে সময় খুব কম, তাই গাড়ি নিজেরাই উৎপাদন করতে হবে। সেসব উৎপাদিত গাড়ি আবার রপ্তানি করতে হবে। তাহলেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যার্জন সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা গ্রাজুয়েশনের দিকে যাচ্ছি। কয়েকজন এগিয়ে এসে গাড়ি উৎপাদন শুরু করতে হবে। দু-চারজন এগিয়ে আসেন। এছাড়া অপ্রদর্শিত টাকা বাড়ি কেনার জন্য দিতে হবে, এমন দাবি প্রতিবছর করা মানায় না।

সভায় বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইমপোর্টস এন্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)সহ ৫ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বারভিডার প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে গাড়ির প্রথম রেজিষ্ট্রেশনের তারিখ ও রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের তারিখের মধ্যে সময়সীমা ন্যূনতম ৩৬৫ দিন হতে হয়। এছাড়া গাড়িটি ১ হাজার কিলোমিটার চালাতে হয়। তবে এই নিয়ম পরিবর্তনে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি হিসেবে বিবেচিত হতে হলে সংশ্লিষ্ট গাড়ির চেসিস তৈরির পরবর্তী সালের প্রথম দিন থেকে জাহাজীকরনের দিন পর্যন্ত গণনা করা প্রস্তাব দিয়েছে বারভিডা।

যুক্তি অনুযায়ী বারভিডা বলে, উৎপাদনকারী দেশ জাপান থেকেই বাংলাদেশে একমাত্র রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি হয়। সে দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য দিন ও কিলোমিটারের হিসাব করা হয় না। ব্যবহৃত গাড়ি হিসেবে বিবেচিত হওয়ার ক্ষেত্রে ৩৬৫ দিন ও ১ হাজার কিলোমিটার চালিত হতে হবে এম বিধান থাকায় আরসিসির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আরসিসির বাধ্যবাধকতা থাকায় আগের মতোই জাল-জালিয়াতির সুযোগ থাকে। তাই চেসিস বুক অনুসরণ করে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির সংজ্ঞা নির্ধারণ এবং অবয় প্রদানের উদ্দেশ্যে গাড়ির বয়স গননা পদ্ধতি নির্ধারণ যুক্তিযুক্ত।

এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ডিলার্স কমিশন বিয়োজন,অবচয় হার পুন:নির্ধারণ, বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে শুল্কায়নের জন্য বিকল্প প্রস্তাব ও পাবলিক ট্রান্সপোর্টের আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.