তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ১২ দিন পর জীবিত উদ্ধার ৩

মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়াল

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশ দুটিতে এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচেই জীবিত মানুষের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। তুরস্কে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৪০ হাজার ৬৪২ জন এবং সিরিয়ায় মারা গেছে ৫ হাজার ৮০০ মানুষ। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক এবং সিরিয়ার সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় পরপর দুই দফা ভূমিকম্প আঘাত হানে যার মাত্রা ছিল ৭.৮ ও ৭.৬।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্কের ২ লাখ ৬৪ হাজার আপার্টমেন্ট ধ্বংস হয়েছে এবং এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে যেসমস্ত উদ্ধারকারী এসেছিল তাদের অনেকেই ফিরে গেলেও তুরস্কের উদ্ধারকারী দল এখনো উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।

এদিকে, তুরস্কের আন্তাকিয়া শহরের একটি ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ২৯৬ ঘন্টা পর এই তিন ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হলো। উদ্ধার হওয়া তিন ব্যক্তির একজন পুরুষ, একজন নারী এবং একটি শিশু। ধারণা করা হচ্ছে তারা একই পরিবারের সদস্য। উদ্ধার করার পর পরই দ্রুত তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং অ্যাম্বুলেন্সেই তাদের চিকিৎসা শুরু হয়।

উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা যখন আজকে উদ্ধার অভিযানের জন্য ক্ষনন কাজ করছিলাম তখন সেখানে শব্দ শুনতে পাই। সত্যিই জীবিত কোনো মানুষকে উদ্ধার করতে পারলে আমরা খুবই খুশি হই। উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে নারী ও পুরুষ ব্যক্তি জীবিত আছেন তবে শিশুটি পানিস্বল্পতার কারণে মারা গেছে। খবর- পার্সটুডে

এদিকে, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাদের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে । বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পরিচালক ডেভিড বেইসলি বলেছেন, তুরস্ক থেকে সীমান্তে আরো ক্রসিং খুলে দেয়া দরকার। এছাড়া, তাদের কাছে যে অর্থ ছিল তাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এজন্য তিনি আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানান।

অর্থসূচক /এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.