সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই-বোনসহ নিহত ৩

বগুড়ার শিবগঞ্জ ও সদরে দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ভাইবোনসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। আহতদের কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার সকালে বগুড়ার ছিলিমপুর মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান। নিহতরা হলেন- বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর এলাকার হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী কুহেলী আকতার (২৬) এবং তার ছোট ভাই সিয়াম হোসেন (২০); গাইবান্ধা সদরের কিশামত মালিবাড়ি গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে মিলন হোসেন (৩৫)।

জানা গেছে, শনিবার রাতে কুহেলী আকতার, সিয়াম হোসেন ও হুমায়ুন কবির নামে তিন জন প্রাইভেট কারে বগুড়া থেকে রংপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। রাতে তারা বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলার চকপাড়ায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে পৌঁছান তারা। এ সময় কারের চাকা ফেটে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকে ধাক্কা দেন। এতে কারটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে তিন জনই গুরুতর আহত হন। হাইওয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক কুহেলী ও সিয়ামকে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়ার ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন জানান, গাইবান্ধা ছেড়ে আসা সৈকত পরিবহনের একটি বাস ঢাকায় যাচ্ছিল। বাসটি শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বগুড়া সদরের মাটিডালি দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের কালিবালা এলাকায় পৌঁছে। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি মহাসড়কের ওপর উল্টে যায়। এতে যাত্রী মিলন হোসেন ঘটনাস্থলে নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হন। পুলিশ ও স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠায়। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়।

আবদুর রশিদ নামে এক যাত্রী অভিযোগ করেন, তাদের বাসটি অন্য একটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আসছিল। বার বার নিষেধ করলেও চালক কথা শোনেননি। একে অপরকে ওভারটেক করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.