রিজার্ভের ডলার ১০১ টাকায় বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশে সদ্য বিদায়ী বছরের শুরু থেকেই চলছে ডলার সংকট। ধীরে ধীরে সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার ছাড়া হচ্ছে। এই ডলার বিক্রির দর আরও ১ টাকা বাড়ানে হয়েছে। এতদিন প্রতি ডলারের জন্য ১০০ টাকা নেওয়া হতো। তবে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারী) থেকে ১০১ টাকা দরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছে মোট ৮৯ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে প্রতি ডলার ১০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল, যেটা ছিল রিজার্ভ থেকে বিক্রির সর্বোচ্চ দর।

অন্যদিকে আন্তঃব্যাংকের মধ্যে প্রতি ডলার ১০৭ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এক বছর আগে ছিল ৮৬ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য কমেছে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

এদিকে রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দাম আরেক ধাপ বাড়ানো হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নতুন এ দামের ফলে এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৩ টাকা। এর আগে এই দর ছিল ১০২ টাকা। এ সিদ্ধান্তের ফলে রপ্তানিকারকরা আগের তুলনায় বেশি অর্থ পাবেন।

ডলারের নতুন দর বুধবার থেকেই কার্যকর করা হয়েছে। এ বিষয়ে এবিবি ও বাফেদা দেশের সকল ব্যাংককে চিঠি দিয়ে তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। তবে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত অর্থাৎ ১০৭ টাকায় রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমদানির দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য হবে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের জন্য ঠিক করা দামের গড়ের চেয়ে ৫০ পয়সা বেশি।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.