অল্প ভোটে হেরে গেলেন হিরো আলম

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন। এই  আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন বিজয়ী হয়েছেন।

মশাল প্রতীক নিয়ে রেজাউল করিম তানসেন পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের একতারা প্রতীকে পড়েছে ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হারেন তিনি।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপনির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বগুড়া-৪ আসন ছাড়াও বগুড়া সদর উপজেলা তথা বগুড়া-৬ আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে অংশ নেন হিরো আলম। সেই আসনে তিনি অনেক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। বগুড়া-৬ আসছে তিনি ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৪০। এ আসনে রাগিবুল আহসান রিপু নৌকা প্রতীকে ৩৩ হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোটগ্রহণ করা হয়। বগুড়া সদর ও নন্দীগ্রাম-কাহালু আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত ব্যক্তি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

ভোটগ্রহণ চলাকালে হিরো আলম বলেন, সদর আসনে নানা বিশৃঙ্খলা হয়েছে। কিন্তু দুপুরের পর নন্দীগ্রাম-কাহালু এলাকায় এসে দেখেছি, সবাই আমার একতারা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। সুন্দর পরিবেশে ভোট হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আমিই এখানকার এমপি হচ্ছি।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর দলীয় সিদ্ধান্তে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় বগুড়ার দুটি আসন শূন্য হয়ে পড়ে। এই শূন্য আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন হিরো আলম।

সকালে ভোট দেওয়ার পর হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুন্দর আছে। কাহালু-নন্দীগ্রামে খোঁজ নিয়েছি, আমার অবস্থান ভালো আছে। বগুড়া-৬ আসনে গোলমালের আশঙ্কা করেছিলাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অর্থসূচক/এমএস

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.