ভূমধ্যসাগরীয় হাইড্রোজেন পাইপলাইনে জার্মানি

ভূমধ্যসাগরীয় হাইড্রোজেন পাইপলাইনে জার্মানিও যোগ দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর শলৎস। বস্তুত, ফ্রান্স থেকে পর্তুগাল হয়ে স্পেন পর্যন্ত এই পাইপলাইন বিস্তৃত হলে রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা অনেকটাই কমবে বলে দাবি করা হয়েছিল। গত ডিসেম্বর মাসে গুরুত্বপূর্ণ এই পাইপলাইনের কথা ঘোষণা করেছিল ফ্রান্স, স্পেন এবং পর্তুগাল। বিকল্প শক্তি হিসেবে এই গ্যাস পাইপলাইন তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। ২০৩০ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

রোববার ফ্রান্সে গিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক করেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস। সেখানেই জার্মানি ঘোষণা করেছে, তারাও এই প্রকল্পে অংশ নেবে। এর ফলে পাইপলাইনটি জার্মানি থেকে স্পেন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জার্মানি জানিয়েছে, তারা মোট গ্যাসের ১০ শতাংশ তৈরি করবে।

রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা কমাতেই এই বিকল্প শক্তি তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বস্তুত, জল এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থের সাহায্যে এই গ্যাস তৈরি করাহ বে বলে জানা গেছে। এর ফলে কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে বলেও দাবি করা হচ্ছে।

এদিনের বৈঠকের পর শলৎস জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের টেকনোলজি নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই পাইপলাইন সেই পথেই এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গ্যাসলাইনটির নাম দেওয়া হয়েছে এইচ২মেড। এটি তৈরি করতে খরচ হবে দুই দশমিক ছয় বিলিয়ন ইউরো। তবে জার্মানি এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার ফলে খরচ আরো বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

জার্মানির এদিনের ঘোষণার পর তাকে স্বাগত জানিয়েছে স্পেন। স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যানচেজ জানিয়েছেন, এর ফলে ইউরোপ এর ফলে আরো শক্তিশালী হবে। ঐক্যবদ্ধ হবে। জার্মানির সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.