চলে গেলেন বিশ্বের বয়স্কতম মানুষ

এতদিন বিশ্বের বয়স্কতম মানুষ ছিলেন জাপানের কেন তানাকা। ১১৯ বছর বয়সে কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে তার। লিমকা বুক অফ রেকর্ডস অনুযায়ী তার পরেই বয়স্কতম মানুষ ছিলেন সিস্টার আন্দ্রে। আগামী মাসে তার ১১৯ বছরে পা দেয়ার কথা ছিল।

দুইটি বিশ্বযুদ্ধ দেখা সিস্টার কোভিডের সময় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে সামলেও নিয়েছিলেন। তার হাসপাতালে বহু করোনা রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। সিস্টার তাদের পরিচর্যা করেছেন। তবে শেষ বয়সে নানা সমস্যায় ভুগছিলেন সিস্টার। হাঁটতে পারতেন না। হুইল চেয়ারে ঘুরতে হতো। চোখেও দেখতে পাচ্ছিলেন না। তার হাসপাতালের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ঘুমের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়েছে।

১৯০৪ সালে এক প্রটেস্টান্ট পরিবারে জন্ম সিস্টারের। তখন তার নাম ছিল লুসিলে রানডন। ২৬ বছর বয়সে তিনি ক্যাথলিক হন। ৪১ বছর বয়সে পরিবারের মায়া কাটিয়ে তিনি নানে পরিণত হন। তারপরেই তার নাম হয় আন্দ্রে। কিছুদিন আগেই সিস্টারের মর্যাদা পেয়েছএন তিনি।

নিজের হাসপাতালে পরিচর্যার কাজ করতেন সিস্টার আন্দ্রে। সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার এতবছর বেঁচে থাকার কারণ একটাই– মানুষের সেবা করা। তবে সিস্টার আন্দ্রেই সবচেয়ে বয়স্ক ছিলেন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। সম্প্রতি ভারতের এক যোগবীর স্বামী শিবানন্দ দাবি করেছিলেন তার বয়স ১২৫। চিকিৎসকেরাও তার দাবি সমর্থন করেছেন। শিবানন্দের ভক্তেরা জানিয়েছেন, লিমকা বুক অফ রেকর্ডে তার নাম তোলার জন্য ইতিমধ্যেই কথাবার্তা বলা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া চলাকালীনই মৃত্যু হলো সিস্টারের। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফসি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.