বাংলাদেশি সাংবাদিক লাবুর বই থেকে নির্মিত ‘ফারাজ’

গুলশানের হলি আর্টিজানে ২০১৬ সালের ১ জুলাই জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে বলিউডে সিনেমা নির্মিত হয়েছে। সিনেমাটির নাম ‘ফারাজ’। ৩ ফেব্রুয়ারি সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। ‘ফারাজ’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন বলিউডের হানসাল মেহতা। তিনি ‘শহীদ’, ‘আলিগড়’, ‘সিটিলাইটস’র মতো সিনেমা ও ‘স্ক্যাম ১৯৯২’ ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করে আলোচনায় এসেছেন।

বলিউডের এই সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের সাংবাদিক দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি নুরুজ্জামান লাবুর বই থেকে। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে লাবু নিজেই বিষয়টির সত্যতা প্রকাশ করেছেন।

লাবু জানান, ২০১৯ সালের কোনো একদিন সিনিয়র সাংবাদিক মোর্শেদ আলী খান তার লেখা ‘হোলি আর্টিজান: একটি জার্নালিস্টিক অনুসন্ধান’ খোঁজ করেন। তিনি সেটি তাকে যোগাড় করে দেন। মাস ছয়েক পর মোর্শেদ তাকে ফোন জানান, বইটা চেয়েছিলেন তার বন্ধু, বলিউডের বিখ্যাত প্রযোজক-পরিচালক মহেশ ভাট।

এরপর বিভিন্ন ধাপে মহেশ ভাটের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভিশেষ ফিল্মসের সঙ্গে লাবুর যোগাযোগ এবং বইটি থেকে তাদের সিনেমা নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ভিশেষ ফিল্মস-এর দুই কর্মকর্তার পাশাপাশি মহেশ ভাটের ভাই মুকেশ ভাটের মেয়ে সাক্সেনা ভাটের সঙ্গেও লাবুর কথা হয় সিনেমাটি নিয়ে।

এরপর চুক্তি শেষে লাবুর বাংলা বইটিকে তারা ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। বই থেকে তথ্য নিয়ে নিজেদের মতো করে সিনেমাটির স্ক্রিপ্ট করেন। চুক্তির বিনিময়ে লাবুকে ৩ লাখ রুপি সম্মানীও দেওয়া হয়। তবে চুক্তির অংশ হিসেবে এতদিন বিষয়টি প্রকাশ করেননি এই সাংবাদিক। আজ সিনোমটির ট্রেলার প্রকাশের পরই তিনি বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন।

লাবু এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি এক্সাইটেড যে, বলিউডের কোনো একটা মুভিতে আমার অংশগ্রহণ রয়েছে। চুক্তিপত্রে ক্রেডিট লাইনে আমার ও আমার বইটার নাম দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে। হয়তো মুভির এন্ড টাইটেলে মাইক্রো সেকেন্ডের জন্য তা দেখা যেতেও পারে। তাতেই আমি খুশি।’

উল্লেখ্য, গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় ফারাজ নামটি জড়িয়ে আছে। তার পুরো নাম ফারাজ আইয়াজ হোসেন। মাত্র ২০ বছর বয়সী এই যুবক ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন।

‘ফারাজ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন প্রয়াত শশী কাপুরের ছেলে জাহান কাপুর। এতে আরও অভিনয় করেছেন যতীন সারিন, আমির আলি, জুহি বাব্বারসহ আরও অনেকে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.