টুইটারপ্রধানের পদ ছাড়বেন ইলন মাস্ক

সমালোচনার মধ্যে গত সোমবার অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক টুইটারে নতুন একটি জনমত জরিপ করেছিলেন। তিনি স্বপদে বহাল থাকবেন নাকি টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত জানতে টুইটার ব্যবহারকারীর মধ্যে জরিপ চালান তিনি।

জরিপে দেখা গেছে, ১ কোটি ৭০ লক্ষাধিক মানুষ ভোট দিয়েছেন, যেখানে সাড়ে ৫৭ শতাংশ মানুষ ‘হ্যাঁ’ এবং সাড়ে ৪২ শতাংশ মানুষ ‘না’ এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

এরপরই মাস্ক একদম চুপচাপ। ১ দিন টুইটে নতুন কোনো মন্তব্যও করেননি তিনি। এদিকে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক।

ইলন মাস্ক টুইট করে বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার মতো কাউকে পেলে এ পদ থেকে পদত্যাগ করবো। আমি শুধু সফটওয়্যার ও সার্ভার টিমে কাজ করবো।’

টুইটার কিনে নেওয়ার পর এই সামাজিক প্ল্যাটফর্মটির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েন তিনি। তার মধ্যে গত কয়েকদিন আগে কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তাঁর পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলার অভিযোগ এনে তাঁদের টুইটার থেকে বাদ দেন মাস্ক। এরপর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েন তিনি। তাঁর কড়া সমালোচনা করে জাতিসংঘ ও ইইউ। পরে ওই টুইটার অ্যাকাউন্টগুলো পুনর্বহাল করা হয়।

চার হাজার ৪০০ কোটি ডলার মূল্যে টুইটার কিনে নেন বিশ্বের এই ধনকুবের। গত ২৭ অক্টোবর এক টুইটে টুইটার কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইলন মাস্ক নিজেই। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই টুইটারের শীর্ষ নেতাদের বরখাস্ত করেন তিনি। এরপর টিমের সদস্যদের নিয়ে টুইটারের সফটওয়্যার কোডসহ অন্যান্য বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। ভেঙে দেন পরিচালনা পর্ষদও।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.