শিশু আয়াতকে হত্যার পর করা হয় ৬ টুকরা, যুবক গ্রেফতার

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকা থেকে নিখোঁজ ৭ বছর বয়সী শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে শ্বাসরোধ হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ ছয় টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয় কর্ণফুলী নদীতে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে এ তথ্য।

পিবিআই জানায়, আবির আলী নামের আয়াতদের বাসার সাবেক ভাড়াটিয়াকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এ তথ্য। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১১টার দিকে ইপিজেড থানার আকমল আলী সড়ক থেকে তাকে আটক করা হয়।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা জানিয়েছেন, মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয় শিশু আয়াতকে। পরে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয় কর্ণফুলী নদীতে।

গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়াহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পাশের মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আয়াত। ওইদিন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।

নাঈমা সুলতানা বলেন, শিশু আয়াত নিখোঁজের পর আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আবির আলী নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আবির শিশু আয়াতকে মুক্তিপণ দাবির উদ্দেশ্যে অপহরণ করে বলে জানায়। তবে শিশু আয়াত চিৎকার করতে থাকলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আবির। পরে আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে মরদেহ ছয় টুকরো করে। এরপর মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো দুটি ব্যাগে ভর্তি করে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়।

শিশু আয়াতকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত বটি ও অ্যান্টিকাটার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইপিজেড থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, শিশু আয়াত নিখোঁজের বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। আয়াতকে অপহরণ করে হত্যা করেছে এক পাষণ্ড। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামি পিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.